নিজস্ব প্রতিবেদন: রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। বনের সুন্দরীর গতিপথকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় ন। সে চলে আপন খেয়ালে। তাই তাঁর মর্জির খেসারত দিতে হল ৫০ বছরের এক মৎস্যজীবী ধরণী মণ্ডলকে। বাঘের আক্রমণে নিহত হলেন ওই মৎস্যজীবী। কিন্তু যেটা চিন্তার কারণ তা হল ধরণা মণ্ডল-সহ আরও ৫ জন মৎস্যজীবী মাছ ধরতে গিয়েছিলেন সরকার অনুমোদিত সুন্দরবনের খাঁড়িতে। সরকার অনুমোদিত অর্থাত এইসব খাঁড়িগুলোতে বাঘের ভয় থাকে না। তাই এইসব জায়গায় মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার অনুমতি দেয় সরকার। সেখানেই বাঘের কবলে পড়তে হল তাঁদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিহত মৎস্যজীবীর বাড়ি সুন্দরবনের ছোট মোল্লাখালি উপকূলীয় থানার কুমিরমারি গ্রামে। সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করাই এদের পেশা। সেইমতো জঙ্গলে মাছ ধরতে গিয়েছিল সরকারি অনুমতি নিয়েই। জঙ্গলের মধ্যে নদীর খাঁড়িতে জাল পাতার সময় হঠাৎই পিছন থেকে বাঘ এসে আক্রমণ করে এবং তুলে নিয়ে যায় ওই মৎস্যজীবীকে।



আরও পড়ুন: মত্সজীবীদের ভাগ্য খুলে গেল! ৮০০ কেজির মাছ বিক্রি হল ১৬ লাখ টাকায়


বনদফতরের তরফ থেকে ওই মৎসজীবীকে বাঘে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকারও করেছে। খবর পেয়ে আসেন সজনেখালি রেঞ্জ অফিসের ব্যাঘ্র প্রকল্পের কর্মীরা।  ২৪ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার করা হয় ওই ব্যক্তির দেহ।


মৃত মৎস্যজীবীর সঙ্গী অঙ্কন মণ্ডল বলেন, ‘মাছ ধরাই আমাদের একমাত্র পেশা। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি। সরকার যদি আমাদের অন্য কোন রোজগারের ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আর মাছ ধরব না।’  বনকর্মীদের উপর ক্ষোভ উগরে দেন কুমিরমারি পঞ্চায়েত প্রধান দেবাশীষ মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ , “ কাউকে বাঘে নিয়ে গেলেই বনকর্মীরা প্রথমেই জানিয়ে দেয় আর পাওয়া যাবে না। তাঁরা খুঁজতে যেতে চায় না। বাঁচাতে না পারি পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়ার চেষ্টা তো  করা যেতে পারে। এরা যদি আরও একটু ততপর হয় অনেকই আমরা বাঁচাতে পারি।’ উল্লেখ্য, কুমিরমারি পঞ্চায়েত প্রধান দেবাশীষ মণ্ডলের ব্যক্তিগত উদ্যোগেই ধরণী মন্ডলের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান গ্রামবাসীরা।