Purulia Tiger: এখনও বাগে আসেনি বাঘিনী! শীতের মরসুমে পুরুলিয়ার জঙ্গলে আতঙ্কের ছাপ...
Purulia Tiger: মিলছে না বাঘিনীর অবস্থান। সকাল থেকে ফ্রিকুয়েন্সি এন্টেনা দিয়ে বাঘিনীর গলায় ঝোলানো রেডিও কলারের অবস্থান সার্চ করেও বাঘের গতিবিধি জানতে পারছে না বন বিভাগের কর্মীরা। তাই এবার বাঘিনীকে বাঘে আনতে নয়া কৌশল অবলম্বন করছে বন দপ্তর। বনকর্মীদের সঙ্গে এবার হুলা পার্টির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মশাল নিয়ে ABCD নাম দিয়ে চারটি ভাগে ভাগ করে জঙ্গলে তল্লাশি শুরু করেছে বনদপ্তর ।
মনোরঞ্জন মিশ্র: পাঁচদিন পার। এখনও অধরা বাঘিনী। বন দপ্তরের সব চেষ্টায় বিফলে যাচ্ছে বাঘিনীকে খাঁচাবন্দী করা চেষ্টা। বাঘিনীকে বাগে আনতে হিমসিম খাচ্ছে বন বিভাগ। আবারও নতুন করে বাঘিনীর তরতাজা পায়ের ছাপ মিলল চাষের জমিতে। পুরুলিয়ার মানবাজার ২ নম্বর ব্লকের ডাঙ্গরডি বিটে অফিস সংলগ্ন জঙ্গলেই অবস্থান রয়েছে বাঘিনীর, নিশ্চিত বন দপ্তর । বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ের শাল গাছের জঙ্গলে ছেড়ে এবার সোনাঝুরি গাছের জঙ্গলে আশ্রয় নিল যমুনা। বন দপ্তরের পক্ষ থেকে ওই জঙ্গল এলাকা ঘিরে ফেলা হচ্ছে সুন্দরবনের ধাঁচে জাল দিয়ে। হাই ফ্রিকুয়েন্সি এন্টেনা দিয়ে বাঘিনীর গলায় ঝোলানো রেডিও কলারের অবস্থান সার্চ করে বাঘিনীর অবস্থান জানার চেষ্টা চালাচ্ছে বনকর্মীরা। এবার ওই জঙ্গলে ছাগল, শুকোর এবং গবাদি পশু দিয়ে পাতা হবে ফাঁদ। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে ট্রানকুলাইজার টিম। বনকর্মীদের টিমগুলোকে আনা হয়েছে ওই জঙ্গলে।
আরও পড়ুন: Purulia Tiger: জঙ্গলজুড়ে নাকাবন্দি, বনকর্মীদের ঘোল খাইয়ে ছাগল মেরে ডেরায় ফিরছে যমুনা
মিলছে না বাঘিনীর অবস্থান । সকাল থেকে ফ্রিকুয়েন্সি এন্টেনা দিয়ে বাঘিনীর গলায় ঝোলানো রেডিও কলারের অবস্থান সার্চ করেও বাঘের গতিবিধি জানতে পারছে না বন বিভাগের কর্মীরা । তাই এবার বাঘিনীকে বাঘে আনতে নয়া কৌশল অবলম্বন করছে বন দপ্তর । বনকর্মীদের সঙ্গে এবার হুলা পার্টির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মশাল নিয়ে ABCD নাম দিয়ে চারটি ভাগে ভাগ করে জঙ্গলে তল্লাশি শুরু করেছে বনদপ্তর । সঙ্গে ট্রাঙ্কুলাইজার টিম হাতে বন্দুক ও ঘুমপাড়ানি ওষুধ নিয়ে নেমে পড়েছে মাঠে । শুরু হয়েছে জোর তল্লাশি। এতদিন বন দপ্তরের পাতা ফাঁদে পা না দেওয়ায় এবার বাঘিনীর খোঁজে জঙ্গলে নামছে বন বিভাগ।
আবার একটা আতঙ্কের রাত কাটালো বান্দোয়ানবাসী। পরপর পাঁচদিন পার, এখনও অধরা বাঘিনী । বাঘিনীকে বাগে আনতে হিমসিম খাচ্ছে বন বিভাগ। পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়েই ঘাঁটি গেড়ে বসেছে যমুনা । জঙ্গল লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় শিকার করে আবার সেই স্থানেই ফিরছে সে । বাঘিনীর আতঙ্ককে সঙ্গী করেই রাত কাটাচ্ছেন স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা। আতঙ্কে মাঠ থেকে পাকা ধান ও সবজি ঘরে তুলতে পারছেন না গ্রামবাসীরা । রাইকা জঙ্গল লাগোয়া রাহামদা জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ছাগলের দেহ । বন্ধ স্বাভাবিক জনজীবন । জঙ্গলে যাওয়া একেবারেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে । বাঘিনীকে খাঁচাবন্দি করতে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করেও বিফল বন বিভাগ। জাল দিয়ে জঙ্গল ঘেরা, বন কর্মীদের টিমের সংখ্যা বাড়ানো, ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো, ট্রানকুলাইজার টিম ও বাঘ বিশেষজ্ঞদের মোতায়েন করেও বাগে এলো না বাঘিনী । শুকোর, ছাগল এবং গবাদি পশুর টোপ দিয়ে ফাঁদ পেতে অপেক্ষায় রয়েছে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: Saokat Molla: 'সুকান্ত-শুভেন্দু সাইকো পেসেন্ট, এদের...'! শওকত মোল্লা
আপাতত প্রধান অতিথি এখন বাঘিনী। এতদিন শীতের মরসুমে পর্যটকদের পছন্দের জায়গা ছিল পাহাড় জঙ্গল ঘেরা পুরুলিয়া । এবার শীতের আমেজে পুরুলিয়ার জঙ্গলে হঠাৎ পদার্পণ করে জেলাকে আপন করে নিল বাঘিনী। পাহাড়ের জঙ্গলেই দিব্যি রয়েছে বাঘিনী । খিদে পেলে বন দপ্তরের টোপে পা না দিয়ে গ্রামবাসীদের দেশী ছাগলের মাংস খেয়ে ফিরে যাচ্ছে সেই পাহাড়ের গুহায় । পান করছেন পাহাড়ের স্রোতের স্বচ্ছ পানীয় জল। শীতের মরশুমে ফেস্টিব মুডে একটার পর একটা দিন কাটাচ্ছেন বাঘিনী। আর অন্যদিকে আতঙ্কে রাতের ঘুম ছুটেছে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের। বাঘিনীকে বাগে আনতে কালঘাম ছুটছে দপ্তরের। জঙ্গলের চারপাশে মোতায়েন রয়েছে বনকর্মীদের টিম, ট্রানকুলাইজার টিম। পাঁচদিন ধরে চার চাকার গাড়িতে চড়ে আসছে, আর যাচ্ছে বনাধিকারিকরা । তবুও বাঘিনী দেখা নেই । পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ের জঙ্গলকে আপন করে দিন কাটাচ্ছে বাঘিনী।