নিজস্ব প্রতিবেদন: দক্ষিণবঙ্গে মানুষ ও হাতির সংঘাত কমাতে তৎপর হল বনদফতর। এবার হাতির গতিবিধির আগাম খবর জানাতে অরলি ওয়ার্নিং সিস্টেম চালু করার কথা ভাবছে তারা। এই ব্যবস্থায় কোনও এলাকায় হাতি পৌঁছনোর আগেই খবর পৌঁছে ‌যাবে বনকর্মীদের কাছে। ফলে মানুষ ও হাতির সংঘাত এড়াতে আগাম সতর্ক হতে পারবেন বনকর্মীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এর আগে হাতির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে ঐরাবৎ নামে বিশেষ ‌যান চালু করেছিল বনদফতর। সেই ‌যানে হাতিকে বসতি ও চাষজমি থেকে দূরে রাখতে রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এবার এক ধাপ এগিয়ে আরলি ওয়ার্নিং সিস্টেম চালু করার কথা ভাবছে তাঁরা। চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন রবিকান্ত সিন্‌হা জানিয়েছেন, এজন্য বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্সের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন - দলিত ছাত্রকে পিটিয়ে খুন, ছাত্রবিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ এলাহাবাদ


প্রকল্প প্রাথমিক প‌র্যায়ে থাকলেও এই ব্যবস্থা নিয়ে আশাবাদী বনদফতরের কর্তারা। এই ব্যবস্থায় উপকৃত হবে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া জেলা। এই তিন জেলায় ‌যে ১১৩টি হাতি রয়েছে তাদের গতিবিধি পুঙ্খাণুপুঙ্খ ভাবে জানবেন বিজ্ঞানীরা। কোন হাতির দল কখন কোথায় অবস্থান করে নথিভুক্ত করা হবে তার বিস্তারিত। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই তৈরি হবে আগাম বার্তা দেওয়ার ব্যবস্থা। প্রয়োজনে হাতির গলায় রেডিও কলার পরানো হতে পারে বলেও জানিয়েছেন রবিকান্তবাবু। তিনি জানিয়েছেন, আগামী মাসেই এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্সের গবেষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন পশ্চিমবঙ্গের বনাধিকারিকরা। 


পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের তিন জেলায় মানুষ ও হাতির সংঘাত নৈমিত্তিক ব্যাপার। হাতি চলাচলের পথে মানুষ্যবসতি গড়ে ওঠায় লাগাতার বাড়ছে সংঘাত। এতে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে দু'পক্ষকেই।