দফায় দফায় বোমাবাজি, ভাঙচুর, BJP কর্মীকে গুলির ঘটনায় রণক্ষেত্র কোচবিহার
দুই দলের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ময়দানে নেমেছে পুলিস। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী বোমার আঘাতে আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোচবিহারে মাথাভাঙায় বিজেপি কর্মীকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে পথে বিজেপি কর্মীরা। পালটা তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল বিরোধী দলের বিরুদ্ধে। দফায় দফায় বোমাবাজি, ভাঙচুর ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে এলাকা। দুই দলের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ময়দানে নেমেছে পুলিস। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী বোমার আঘাতে আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, গতরাতে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদককে লক্ষ্য করে চলে গুলি। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কোচবিহার জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিজেপি নেতা অভিজিৎ বর্মনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: কোচবিহারে BJP কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
যদিও গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়াযর কারণে বরাত জোড়ে বেঁচে যান অভিজিৎ বর্মন। আক্রান্ত বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ, মাথাভাঙা শহরের BJPর দলীয় কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনায় আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন তিনি, ফেরার পথে মাথাভাঙা থানা থেকে বেরোনোর পরই এলাকার শনি মন্দির পেরিয়ে আব্বাসউদ্দীন সেতু লাগোয়া এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী আমায় গুলি করে।' তিনি আরও বলেন, 'যদিও আমার গায়ে গুলিটি লাগেনি, অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি। লিটি আমার গাড়ির পেছনে লেগেছে।'
সমস্ত বিষয় জানিয়ে জেলার সভানেত্রী মালতী রাভাসহ অন্যান্য নেতৃত্ব দেয় জানানো হয়েছে এবং তারা কি নির্দেশ দেয় সেই মতোই অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে যদিও পুলিশের কোনো বক্তব্য এই মুহূর্তে মেলেনি।তবে তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।