রণয় তেওয়ারি: চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে গ্রেফতার হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি। তাঁকে ৫ দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের আদালত। শুক্রবার হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানিকে তাকে তার নিউ টাউনের ফ্ল্য়াট থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার বাড়ি থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। নিউ টাউনের ফ্ল্যাট ছাড়াও হালিশহরে তাঁর নিজের বাড়ি ও অন্য়ান্য জায়গা থেকে বিপুল টাকার সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। নিউটাউনের পাশাপাশি এ রাজ্য় ও বেঙ্গালুরুতে মোট ৩টি ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। সিটিসেন্টার ২ এর সামনে একটি দোকান রয়েছে। নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া ২-এ ফ্ল্যাট রয়েছে রাজুর। সেখানে একটি আবাসনের বারোতলায় থাকেন রাজুর স্ত্রী ও সন্তান। জানা যাচ্ছে ওই আবাসনের এক একটি ফ্ল্যাটের দাম কোটি টাকার উপরে। এরকম একটি আবাসনের ৯ তলাতেও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। কিন্তু কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক রাজু। কীভাবে তাঁর উত্থান?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-জোড়া গোল সুমিত পাসির, করলেন ডার্বি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কাজ     


আসানসোলের আদালতে আজ রাজুর আইনজীবী সওয়াল করেছেন, রাজু নিজে একজন ব্যবসায়ী। তার পরিবারের অনেকেই ব্যবসায়ী। রাজুর নিজের ৭-৮টি কোম্পানি রয়েছে। ফলে তার বাড়িতে ওই নগদ টাকা পাওয়া বিচিত্র কিছু নয়। জানা যাচ্ছে, একসময় হালিশহরের দাপুটে সিপিএম নেতা ছিলেন লক্ষ্ণণ সাহানি। লোহার ব্যবসা করতেন। সিপিএমের টিকিটে কাউন্সিলরও হয়েছিলেন। পরে তিনি যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ২০১০ সালে হালিশহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন লক্ষ্ণণ সাহানি। ২০১২ সালে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে সেই জায়গাটা দখল করেন লক্ষ্ণণ সাহানির ছেলে রাজু সাহানি।


২০১৫ সালে হালিশহর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যেতেন রাজু সাহানি। ২০২১ সালে ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেন রাজু। সূত্রের খবর, করোনা কালে ২০২০ সালে হালি শহর পুরসভার নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। তখন পুরো প্রশাসক হিসেবে চেয়ারম্যান অংশুমান রায় কিছুদিন দায়িত্বে ছিলেন। তারপর সেখান থেকে তিনি সরে আসেন। এরপর পুর প্রশাসকের সেই জায়গা দখল করেন রাজু। পরবর্তীতে নির্বাচন হলে, চেয়ারম্যান হন রাজু।


কীভাবে বাড়বাড়ন্ত রাজুর?


সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে ও পরে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রচন্ড বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। তখন গোটা পরিস্থিতির সামাল দিয়েছিলেন এই রাজু সাহানি। দলবল নিয়ে এসে এলাকা ঘিরে রেখেছিলেন তিনি। রাজুর মাসল পাওয়ার দেখে খুশি হয়েছিলেন দলের ওপরতলার নেতারা। এরপর ২০২০ সালের শেষের দিকেই পুরো প্রশাসক অংশুমান রায়কে সরিয়ে রাজুকে প্রশাসক হিসেবে বসানো হয়। পরবর্তীতে নির্বাচন হলে রাজুকেই করা হয় চেয়ারম্যান।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)