রাতের চুঁচুড়ায় গ্যাং ওয়ার, গুলিতে খুন কুখ্যাত দুষ্কৃতী হাতকাটা মুন্না
শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে চুঁচুড়ার বড়বাজার এলাকার আজাদ হিন্দ ক্লাবের সামনে
নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্লাবের সমানে গুলিতে মৃত্যু হল চুঁচুড়ার কুখ্যাত দুষ্কৃতী হাতকাটা মুন্নার। গ্যাং ওয়ার নাকি রাজনৈতিক লড়াই তা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজপির মধ্যে।
আরও পড়ুন-পুরসভা অতীত, একটা আস্ত জেলা পরিষদই এবার পকেটে পুরছে বিজেপি
শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে চুঁচুড়ার বড়বাজার এলাকায়। স্থানীয় আজাদ হিন্দ ক্লাবের সামনে গুলি চলে। স্থানীয় সূত্র জানা যাচ্ছে ওই ক্লাবের সামনে কিছু দুষ্কৃতী জড়ো হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে গন্ডগোল বেধে যায়। তার পরেই চলে গুলি।
আচমকা গুলির আওয়াজে হইচই শুরু হয়ে যায় এলাকায়। গুলিতে মারাত্মক আহত হল এলাকার দুষ্কৃতী হাতকাটা মুন্না। দুটি গুলি লাগে তার দেহে। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় মু্ন্নাকে। পুলিস ঘটনাস্থল থেকে ২টি কার্তুদের খোল উদ্ধার করেছে। উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন এলাকাছাড়া ছিল মুন্না। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই এলাকায় ফেরে সে।
পুলিসের প্রাথমিক ধারনা গ্যাং ওয়ারেই মারা গিয়েছে হাতকাটা মুন্না। তবে তৃণমূলের দাবি, ঘটনার পেছেন বিজেপির হাত রয়েছে। কারণ এদিন ওই ক্লাব দখল করতে এসেছিল বিজেপি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিজয় কাহারের দাবি তাঁকে মারতেই দুষ্কৃতীরা জড়ো হয়েছিল। তবে ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন-পরিস্থিতি বদলেছে; এখন আলোচনায় বসতে চায় হুরিয়ত, মন্তব্য জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপালের
তৃণমূল নেতা বিজয় কাহার বলেন, ওরা ৮ জন ছিল। রাত সাড় দশটা নাগাদ বাড়ি যাওয়ার ঠিক আগেই ওরা ঢুকে পড়ে মারধার আরম্ভ করে। চেয়ার টেবিল ভেঙে চুরমার করে দেয়। অন্যদিকে, বিজেপি নেতা সপ্তর্ষী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি করি বটে তবে এই ধরনের খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। শহরের কেউ বলতে পারবে না আমি হিংসার রাজনীতি করার চেষ্টা করেছি।