Mamata in Gangasagar: গঙ্গাসাগর হোক জাতীয় মেলা, দাবি তুললেন মমতা
মু্খ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিবছরই মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এখানে আসি। মেলায় যাতে কোনও অবহেলা না হয় তা দেখাশোনা করবেন রাজ্যের মন্ত্রী ও আধিকারিকরা। এবার গঙ্গাসাগর মেলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মেলা হিসেবে গঙ্গাসাগর অনন্য। এখানে আগত ৪০-৫০ লাখ মানুষ অত্যন্ত কষ্ট করে আসনে। কুম্ভমেলার পরিকাঠামো অনেক ভালো। রেল ও বিমানের সঙ্গে এটির যোগাযোগ রয়েছে। গঙ্গাসাগরে তা নেই। এবার এই মেলাকে জাতীয় মেলা হিসেব ঘোষণার দাবি তুললেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-প্রাথমিকে ১৪০ জনের চাকরি বাতিল, সিবিআইয়ের স্ক্যানারে 'পর্ষদের' ফোন নম্বর
গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার গঙ্গাসাগরে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, কুম্ভ মেলা গোটা পৃথিবীতে একটি বিরল মেলা। কেন এই মেলাকে কেন বিরল মেলা বলি তা অনেকেই জানেন। কিন্তু একটা জিনিস কি কখনও ভেবে দেখেছেন, কুম্ভ মেলার সঙ্গে বিমান ও রেলের খুব ভালো যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু গঙ্গাসাগরে তা নেই। আমরা বলি, সব সাগর বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। এমন বলার কারণ হল, প্রতিটি মানুষকে জল পার হয়ে এখানে আসতে হয়। ৪০-৫০ লাখ মানুষ জল পেরিয়ে এখানে আসেন। এটা খুবই কষ্টদায়ক। তাই কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন করছি গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা হিসেবে ঘোষণা করা হোক। এনিয়ে আগেও বলেছি অনেকবার। কুম্ভমেলার সবটা খরচ কেন্দ্র দেয়। আর গঙ্গাসাগরের ১ পয়সার বাতাসাও দেওয়া হয় না। সব খরচটাই রাজ্য সরকারকে করতে হয়।আগে কপিল মুনির আশ্রমে এসেছি। কিছুই ছিল না। এখন থাকার জন্য ব্যবস্থা হয়েছে। তিনটি হেলিপ্যাড হয়েছে।
মু্খ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিবছরই মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এখানে আসি। মেলায় যাতে কোনও অবহেলা না হয় তা দেখাশোনা করবেন রাজ্যের মন্ত্রী ও আধিকারিকরা। এবার গঙ্গাসাগর মেলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখানে আমরা এবার দেখাব দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়ি, কালী মন্দির, তারাপীঠ, তারকেশ্বরের মন্দিরের রেপ্লিকা। একটি আধুনিক গেস্ট হাউস তৈরি করা হয়েছে। ইয়াস-এর সময়ে এলাকার সবকিছু ভেঙে গিয়েছিল। আমরা তা ফের মেরামত করে দিয়েছি। কাকদ্বীপে একটি নতুন সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে।
মেলায় আগত মানুষজনের নিরাপত্তা ও সউয়োগ সুবিধে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মেলা যখন চলবে তখন যে কোনও মানুষ যদি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তাহলে তার পরিবারের জন্য ৫ লাখ টাকা বিমার সুবিধা দেওয়া হবে। এবার মন্দির সংলগ্ন এলাকায় পাকা রাস্তা, আলো, তীর্থযাত্রী নিবাস, বিশ্রামাগার, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১০ হাজারের বেশি স্থায়ী শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। কাকদ্বীপের লট-৮ এ একটি নতুন জেটি তৈরি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য তৈরি করা হয়েছে সুন্দরবন পুলিস জেলা, গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানা, হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানা।