Garbeta: মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকে থোড়াই কেয়ার! গাছ কেটে দেদার পাচার গড়বেতায়
অভিযোগ রাতের অন্ধকারে কেটে ফেলা হচ্ছে বহু গাছ। তবে তা পাচারের আগেই উদ্ধার করল গুড়গুড়িপাল থানার পুলিস। এ কাণ্ডেও অভিযোগ উঠছে শাসকদলের বিরুদ্ধে।
চম্পক দত্ত: গড়বেতায় গাছ পাচার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আগেই। তবে তা অমান্য করেই দেদারে চলছে গাছ পাচার। এমনই বেআইনিভাবে গাছ পাচারের অভিযোগ মেদিনীপুর সদর ব্লকে। অভিযোগ রাতের অন্ধকারে কেটে ফেলা হচ্ছে বহু গাছ। তবে তা পাচারের আগেই উদ্ধার করল গুড়গুড়িপাল থানার পুলিস। এ কাণ্ডেও অভিযোগ উঠছে শাসকদলের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এর পেছনে শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের মদত রয়েছে। যদিও ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে পুলিসকে অভিযোগ জানিয়েছেন শাসক দলেরই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর সদর ব্লকের কনকাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহাটিকরীতে পঞ্চায়েতের কাজু বাগান রয়েছে। কাজু গাছের পাশাপাশি রয়েছে বড় নিম ও বনশিরিষ গাছও। রাতের অন্ধকারে বহু নিম, বনশিরিষ ও কাজু গাছ কেটে ফেলছে কেউ বা কারা। বন দফতরে অনুমতির আবেদনও করেনি কেউ।
স্থানীয় গ্রামবাসী মারফত ঘটনাটি জানতে পেরে থানায় অভিযোগ জানান কঙ্কাবতী গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান বিশ্বজিৎ কর্মকার। তিনি বলেন, লোহাটিকরীতে পঞ্চায়েতের কাজু বাগানে নিম, শিরিষ সহ কাজু গাছ কেউ বা কারা কেটে ফেলেছে। গুড়গুড়িপাল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ পেয়ে রাতেই পৌঁছে এলাকায় পাহারা দেয় পুলিস। পরদিন সকালে গাছগুলিকে উদ্ধার করে। সূত্রের খবর বেশ কয়েকজনকে গাছ কাটা কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরুও করেছে।
স্থানীয় গ্রামবাসী তাপস কুমার মাঝি বলেন, এই ধরনের চক্র এলাকায় আগেও একই রকম কাণ্ড করেছে। আমরা চাই প্রশাসন তৎপর হোক। এদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি অরূপ দাস বলেন, " গড়বেতা হোক আর লোহাটিকরী সর্বত্রই শাসক দলের নেতাকর্মীরা জড়িত থাকে। গাছ কেটে পাচার করার কাণ্ডে তৃণমূল নেতারা ছাড়া আর কেউই নেই। এসবই শাসকদলের কাজকর্ম।
পাল্টা তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান অজিত মাইতি দোষ চাপিয়েছেন বিজেপির দিকেই। তার বক্তব্য, তৃণমূল জড়িত নয় তার প্রমাণ গাছ কাটার অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূলের উপ প্রধান। কিছু দুষ্কৃতী গাছ গুলি চুরি করেছে যার সঙ্গে বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল জড়িত আছে।
সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী গড়বেতায় অবৈধ ভাবে গাছ কাটা নিয়ে ধমক দেন। তিনি জানিয়েছেন, গাছ কাটা পঞ্চায়েতের নয়, বন দফতরের কাজ।" কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার পরেই লোহাটিকরীতে গাছ পাচারের অভিযোগ উঠল। পুলিস অবশ্য গাছ গুলি উদ্ধার করে সন্দেহজনক লোকজনকে ডেকে জেরা করা শুরু করে দিয়েছে।