হাওড়ার ঘুসুড়িতে বিষাক্ত গ্যাস লিক করে অসুস্থ শতাধিক
গঙ্গায় গিয়ে সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিকভাবে লিক সিলিন্ডারটি জলে ফেলা হয়। সঙ্গে সঙ্গেই জলে বিস্ফোরণ হয়। জলে মিশে যায় বিষাক্ত গ্যাস।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বাতিল সিলিন্ডারের গ্যাস লিক করে শতাধিক অসুস্থ হাওড়ার ঘুসুড়িতে। হাসপাতালে ভর্তি কমপক্ষে ৫০ জন। হাওড়ার ঘুসুরির স্ক্র্যাপইয়ার্ডে বজরংবলি এন্টারপ্রাইজের বাতিল সিলিন্ডার থেকে লিক করে গ্যাস। মূলত সার কারখানা থেকে আসে এই সিলিন্ডারগুলি।
সোমবার সকালে বজরংবলি এন্টারপ্রাইজের এক কর্মী সিলিন্ডার কাটতে বসেন। সাধারণত নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে ছেনি, হাতুড়ি দিয়ে সিলিন্ডারের নব খুলে দেখে নেওয়া হয় যে গ্যাস আছে কিনা। গ্যাস না থাকলে বা গ্যাস থাকলে বেরিয়ে যাওয়ার পর সিলিন্ডার কেটে ফেলা হয়। অভিযোগ, কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই এই গোটা কাজটা চলে সম্পূর্ণ অপটু হাতে। ছেনি, হাতুরি দিয়ে নব খুলতেই শুরু হয় গ্যাস লিক। বিষাক্ত গ্যাসের ঝাঁঝালো গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে।
সঙ্গে সঙ্গেই পুলিস ও দমকলে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ, তারাও গ্যাস লিক আটকাতে ব্যর্থ হয়। কোনওমতে সাবান ও মাটির সাহায্যে জোড়াতালি দিয়ে সিলিন্ডারের মুখ বন্ধ করা হয়। তারপর ওই সিলিন্ডারকে পে লোডারে করে অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গায়। গঙ্গায় গিয়ে সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিকভাবে লিক সিলিন্ডারটি জলে ফেলা হয়। সঙ্গে সঙ্গেই জলে বিস্ফোরণ হয়। জলে মিশে যায় বিষাক্ত গ্যাস।
আরও পড়ুন, স্কুলের মধ্যে শ্লীলতাহানি, ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে সেলফি তোলার চেষ্টা যুবকের (ভয়ঙ্কর ভিডিও)
এদিকে, পে লোডারে করে লিক সিলিন্ডারটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় আরও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থরা টি এল জয়সওয়াল হাসপাতাল, হাওড়া শ্রমজীবী হাসপাতাল এবং হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।