নিজস্ব প্রতিবেদন: চেনা নদী হঠাত্ অচেনা হয়ে উঠল। রং বদল করল নদীর জল। স্বচ্ছ নীল হয়ে উঠল কালো। শুক্রবার সকালে আচমকাই কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করল ঘিস নদীর জল। এঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির মালাবাজারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এদিন সকাল ১১টা পর্যন্ত নদীর জল স্বচ্ছ নীল-ই ছিল। তারপর আচমকাই পাল্টাতে থাকে জলের রং। ধীরে ধীরে নদীর জল পুরো কালো রঙের হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও নদীর জলের রঙের কোনও পরিবর্তন হয়নি।


আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত মামলা: তৃণমূলের 'সুপ্রিম' স্বস্তি, জোর ধাক্কা বিরোধীদের


নদীর জলের এভাবে রং পরিবর্তেনর খবর চাউর হতে বেশি সময় লাগেনি। এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে নদীর জলের কৃষ্ণবর্ণ ধারণের কথা। আর তারপরই ভিড় জমে যায় নদীর পাড়ে। নদীর জলের রং পরিবর্তন দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটকরা। প্রত্যেকেই হতবাক এমন ঘটনায়। প্রত্যেকরই দাবি, এরকম দৃশ্য আগে কখনও দেখেননি।


কী কারণে নদীর জলের এমন রং পরিবর্তন?


নদীর জলের রং এমনভাবে আচমকা কেন বদলে গেল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছড়িয়েছে। কেউ-ই নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না। অনেকে বলছেন, হয়তো পাহাড়ের কয়লা খনিতে ধস নেমেছে। সেই কারণেই নদীর জল কালো হয়ে গেছে। কিন্তু এই যুক্তি আবার ধোপে টিকছে না এলাকাবাসীর একাংশের-ই দাবির কাছে।


আরও পড়ুন, 'এই রায়ে ঘরেও জিতলাম', বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া কল্যাণের


তাঁদের পাল্টা দাবি, পাহাড়ে কয়লা খনি রয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু যেদিকে কয়লা খনি রয়েছে, সেইদিক জল মোটেই এটা না। সেইদিকের জল পরিষ্কারই রয়েছে। সবমিলিয়ে নদীর জলের রং পরিবর্তনের ঘটনায় প্রত্যেকেই ধন্দে।


ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বন দফতরকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা তদন্ত শুরুও করে দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান, দূষণের ফলেই নদীর জলের রং পাল্টে গেছে। কিন্তু, সেই দূষণ কোথা থেকে কীভাবে ছড়াল, সেটাই তদন্তসাপেক্ষ।


আরও পড়ুন, স্ত্রীর শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় যুবকের চোখে ছুরির কোপ!


স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকার মানুষ নদীর জলে স্নান করেন। বন্য পশুরা নদীর জল পান করে। কিন্তু নদীর জল এভাবে দূষিত হয়ে যাওয়ায় তা স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক। এই জল বন্যপ্রাণীরা পান করলে তাদের প্রাণহানিও ঘটতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। একইসঙ্গে তাঁদের আশঙ্কা, নদীর জলে দূষণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জলজ প্রাণীরাও।