নিজস্ব প্রতিবেদন : রাত হলেই হস্টেলের ঘরে বিভিন্ন রকম শব্দ। কখনও চিত্কার চেঁচামেচি, তো কখনও যেন কেউ ঘরের মধ্যেই দৌড়ে বেডা়চ্ছে। কিন্তু কাউকেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনই দাবি স্থানীয়দের। জলপাইগুড়ি জেলার মাল ব্লকের চেংমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব দলাই গাঁও এলাকা। এই পূর্ব দলাই গাঁও এলাকাতেই রয়েছে মাল বাংলা মডেল হাইস্কুলের হস্টেল। সেই হস্টেল ঘিরে দানা বেঁধে অশরীরী আতঙ্ক। স্থানীয়দের মুখে শোনা যাচ্ছে নানারকম কথা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, গলায় বরমাল্য, সিঁথি রাঙা সিঁদুরে, 'দেবদূত' বিষ্ণুর চোখে চোখ রেখে বিভোর মাম


অশরীরী আতঙ্ক এতটাই ছড়িয়েছে যে, পরিবারকে নিয়ে হস্টেল ছেড়েছেন কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার। দিনের বেলাটা যদি বা কোনওমতে হস্টেলে থাকছেন, কিন্তু রাতের বেলাটা আর ওই পথ মাড়াচ্ছেন না। বাড়ি ভাড়া করে অন্যত্র থাকছেন নব দম্পতি। তাঁদের দাবি, মাঝ রাতে হস্টেলে বিভিন্ন রকম সব আওয়াজ শোনা যায়। মাঝে মাঝে মনে হয় কেউ যেন গোটা হস্টেল বাড়িটার গায়ে লোহার রড দিয়ে বাড়ি মারছে। আর গোটা হস্টেল বাড়িটা কাঁপছে। শুধু কি তাই, রাতের অন্ধকারে কেউ যেন 'জড়িয়েও' ধরে!


আরও পড়ুন, গাছের গুঁড়িতে 'হেলান দিয়ে বসে' নগ্ন শরীরটা! কাছে যেতেই চমকে উঠল এলাকাবাসী


আতঙ্ক এতটাই গ্রাস করেছে যে, গ্রামবাসীরাও সন্ধ্যে হলে আর হস্টেলের দিকে পা বাড়াচ্ছেন না। প্রায় ২ বছর ওই হস্টেলে আছেন কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার টোটোন রায়। তাঁর দাবি, আগেও এধরনের ' অদ্ভূত আওয়াজ' তিনি শুনতে পেতেন। কিন্তু শেষ ৩ মাসে যেন 'উত্পাত' বেড়েছে। মনে হয় মেয়ের গলায় কেউ যেন নাম ধরে ডাকছেন। অথচ, বাইরে বেরিয়ে কাউকে দেখতে পাওয়া যায় না। পুরো বিষয়টাই অশরীরী বলে দাবি টোটোন রায় ও স্থানীয়দের।


আরও পড়ুন, "ওরাও ফেলনা নয়", 'লক্ষ্মী'কে বিয়ে করে গর্বিত রাজীব


যদিও এসব অশরীরী যুক্তি মানতে নারাজ বিজ্ঞানমঞ্চ। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। কেউ বা কারা ইচ্ছে করেই এ জিনিস ঘটাচ্ছে বলে স্পষ্ট মত বিজ্ঞানমঞ্চের।
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চের রাজ্য সহ সভাপতি শঙ্কর করের স্পষ্ট বক্তব্য, "ভূত বলে কিছু হয় না। ওটা মানুষের মনের ভয়। তদন্তে খুব শিগরিরই সত্যিটা সামনে আসবে।" প্রসঙ্গত, বহু সময়ই বহু ক্ষেত্রে এধরনের অশরীরী আতঙ্কে গুজব ছড়িয়েছে। পরে সামনে এসেছে আসল ঘটনা।