প্রেমিকের বাড়ির দরজায় ধরনা নাছোড় প্রেমিকার, পরিণতিতে বিয়েতে রাজি পাত্র
পাত্র সুশান্ত দাস জানান যে, তাঁর বিয়ের ধুতি-পাঞ্জাবি কেনার সামর্থ নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন : এ যেন উলট পুরাণ। এবার পাত্র নয়, বিয়ের জন্য নাছোড়বান্দা পাত্রী ৷ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে প্রেমিকের বাড়ির দরজায় ধরনা দিলেন প্রেমিকা। টানা ২৪ ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন যুবতী৷ প্রেমিকার ধরনার জেরে শেষমেশ 'না, না' করতে করতেও বিয়েতে রাজি হলেন পাত্র ৷ আর তারপরই স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় স্থানীয় কালী মন্দিরে মালাবদল করে বিয়ে হল যুগলের৷ চার হাত এক হল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পাল্লা রোডে।
জানা গিয়েছে, পাত্রীর চুমকি মুদি। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে খোরদো পলাশিতে। পাল্লা রোডের মামুদপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে আলাপ হয় এলাকার যুবক সুশান্ত দাসের সঙ্গে। আলাপ থেকে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সাড়ে ৩ বছর সম্পর্কের পর প্রেমিক সুশান্তকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন চুমকি। কিন্তু, বিয়েতে বেঁকে বসেন প্রেমিক সুশান্ত। এরপরই প্রেমিক সুশান্তর বাড়ির দরজায় ধরনায় বসেন চুমকি নামে ওই যুবতী। গোটা একদিন ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে ওই যুবতী। এমনকি হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন, স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে রাতে একইসময়ে আত্মঘাতী ২ বান্ধবী, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
গোটা ঘটনা দেখে এগিয়ে আসেন স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা। দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। শেষে মেলে সমাধান সূত্র ৷ বিয়েতে রাজি হয় পাত্র। এদিকে পাত্র সুশান্ত দাস জানান যে, তাঁর বিয়ের ধুতি-পাঞ্জাবি কেনার সামর্থ নেই। একথা শুনে পাল্লা রোড পল্লীমঙ্গল সমিতির সদস্য ও এলাকার বাসিন্দারাই ধুতি-পাঞ্জাবি কিনে দেয়। তাদের উপস্থিতিতেই সাতপাকে বাঁধা পড়েন চুমকি ও সুশান্ত। স্থানীয় কালী মন্দিরে যুগলের বিয়ে দেওয়া হয়।