নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপির রথযাত্রার প্রচারে জলপাইগুড়িতে এসে প্রবল ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মুকুল রায়। ক্ষুব্ধ মুকুল রায় এরপরই রাজ্য সরকারের উদ্দেশে তোপ দাগেন। বলেন, আজকের ঘটনা আবার প্রমাণ করল যে রাজ্যে কোনও গণতন্ত্র নেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ বেলা দেড়টা নাগাদ বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা দফতরে পৌঁছন মুকুল রায়। জেলা দফতরে ঢুকতে গিয়েই প্রবল ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অভিজিৎ সিনহার নেতৃত্বে টিএমসিপি কর্মী-সমর্থকরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে 'গো ব্যাক' স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজেপি অফিস থেকে ছুটে আসেন বিজেপি যুবমোর্চার জেলা সভাপতি শ্যাম প্রসাদ সহ অন্য নেতা-কর্মীরা। স্লোগান- পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।


আরও পড়ুন, বিজেপির রথ রুখতে কেষ্টর গড়ে বিলি শুরু সাদা-নীলের খোল, করতাল


কোনওরকমে মুকুল রায়কে বিজেপির জেলা দফতরের সাংবাদিক সম্মেলনে নিয়ে যাওয়া হয়। সাংবাদিক সম্মেলন চলার সময়ও বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকরা। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুকুল রায় বলেন, বাংলায় কোনও গণতন্ত্র নেই। এঘটনা তার প্রমাণ। বাংলায় গণতন্ত্র ফেরাতে ও দুষ্কৃতীরাজ ঠেকাতেই এই রথযাত্রা বলে জানান তিনি।


আরও পড়ুন,গৃহবধূকে খুনের পর আমাবাগানে ঝুলিয়ে দিল স্বামী-শাশুড়ি!


আরও বলেন, বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে এসে যোগ দিচ্ছেন। জলপাইগুড়িতেও অনেক নেতা-কর্মী যোগাযোগ রাখছেন। বিজেপিতে আসার ইচ্ছেপ্রকাশ করছেন তাঁরা। তিনি দাবি করেন, রাজ্যে বর্তমানে বিজেপি দ্বিতীয় শক্তি। লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি প্রথম শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। রাজ্য সরকার অসহযোগিতাতেই রথযাত্রা গঙ্গাসাগর থেকে সরিয়ে কাকদ্বীপ বা নামাখানায় নিয়ে আসতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।


আরও পড়ুন, এক কোটি দশ লাখ টাকার সোনার বিস্কুট সহ বনগাঁয় ধৃত পাচারকারী


অন্যদিকে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি অভিজিৎ সিনহা রথযাত্রাকে কটাক্ষ করেন। বলেন, রাজ্যে অশান্তি লাগাতেই এই রথযাত্রা। তাই কোনওভাবেই এই রথযাত্রাকে সফল হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।