অরূপ লাহা: মঙ্গলবার প্রাত: সাতসকালে ছোটখাটো বিক্ষোভের মুখে দিলীপ ঘোষ। প্রতিদিন প্রাতঃভ্রমণ বেরিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ সোখানেই তিন অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্য পড়ে যান। তাঁকে ঘিরে গো ব্যাক, জয়বাংলা স্লোগান দিতে থাকে কিছু লোক। কম যান না দিলীপও। খানিকটা সিনেমার চিত্রনাট্যের মত পাল্টা দিলীপ ঘোষকে বলতে শোনা গেল, " আরে পাগলা, কুত্তা ভোকে হাজার হাতি চলে বাজার"।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-হরিহরপাড়ায় কংগ্রেস নেতার বাড়িতে বোমা, মুক্তারপুরে ভুয়ো এজেন্ট ধরতে দৌড়লেন সেলিম


রোজকার মত মঙ্গলবার সকালে দিলীপ ঘোষ জনসংযোগ করতে যান বর্ধমান স্টেশন ও স্টেশন চত্ত্বর এলাকায়। তারপর ফ্লাইওভারের নীচে চা চক্রে মিলিত হয়। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্যপাল প্রসঙ্গে বলেন, রাজ্যপাল বলেছেন কোন দিদিগিরি মানব না। উনি ঠিকই বলেছেন, উনি তো ওনার খান না। আমরাই কোনও দিদির দাদাগিরি মানছি না। উনি তো সংবিধানে সবার উপরে আছেন।


মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রকাশ্য জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কেউ আমার চুল স্পর্শ করতে পারবেন না। আমরা স্পর্শ করতে যাব কেন। ওনার গায়ে এত পাপ লেগে আছে কেউ স্পর্শ করবে না। আমরা ওনাকে সরাব। গোটা পশ্চিমবঙ্গ দুর্নীতি আর পাপে ভরে গেছে। ওনাকে আমরা সরাব সম্মানের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আমরা কী খাব না খাব বিজেপি ঠিক করে দেবে। পাল্টা সুকান্ত মজুমদারও মাছ খাওয়ার কথা পোস্ট করেছেন। ওনারা কী খাবে বলার দরকার নেই।  ওনারা তো শুধু মাত্র কাটমানি খায়, তোলাবাজি করে। যারা কাটমানি খায় তাদের কী খাওয়া বাকি আছে বলুন। আমরা কাটমানি খাওয়া বন্ধ করব।


এদিন সাতসকালেই দিলীপ ঘোষকে দেখে গো ব্যাক গ্লোগান ওঠে। এনিয়ে তিনি বলেন, পেটে লাথি পড়েছে তাই এসব বলছে। দু'চার জন আছে, এখন ঘেউ ঘেউ করছে। চার তারিখ পর্যন্ত এসব চলবে। কারণ ওরা জানে দিলীপ ঘোষ থাকলে এসব চলবে না। তোলাবাজি চলবে না।


মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন বিজেপির নেতারা নিজের এলাকায় টিকিট পাচ্ছেন না। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি কেন মেদিনীপুরে গিয়েছিলেন দাঁড়াতে?  মুখে এমন ঝামা ঘসে দিয়েছে আর কোন দিন ওখানে যাবেন না। মেদিনীপুরের লোকেরা এমন ট্রিটমেন্ট করে দিয়েছেন আর ওই পথে যাবেন না। আর ওরাই তো গুজরাট, বিহার থেকে প্রার্থী  নিয়ে এসেছেন।
 
সন্দেশখালি স্টিং ভিডিয়ো নিয়ে শশী পাঁজা বলেছেন, ৫০০, ১০০০, ২০০০ টাকা দিয়ে রাজ্যের মহিলাদের সম্ভ্রম কিনে নেওয়া হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত। এনিয়ে দিলীপ বলেন, কে সম্ভ্রম কিনেছে, ওরাই তো কিনেছে। ৫০০ টাকার জন্য মহিলাদের রাতে পিঠে বানাতে নিয়ে যেত। সন্দেশখালি তার বড় প্রমাণ। এখন ফেঁসে গেছে তাই উল্টোপাল্টা দেখানোর চেষ্টা করছে। ভোটে মানুষ এর জবাব দেবে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)