অনুপ দাস, কৃষ্ণনগর: নদিয়ার কৃষ্ণনগর রথতলার সাহাবাড়িতে কালী থাকেন মেয়ের মতো। তাঁর আবদারের শেষ নেই। শাড়ি, গয়না, নেলপলিশ, বডি স্প্রে, ক্রিম, সবই চাই। বৈশাখ মাসে অমাবস্যায় বদলানো হয় মূর্তি। কালীপুজোর দিনও পুজো হয় একইভাবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 সাহাবাড়িতে যিনি মা, তিনিই মেয়ে। রথতলার সাহাবাড়ির আদূরে মেয়ে রূপেই কালীর অধিষ্ঠান। তার বায়নার শেষ নেই। বাড়ির ছোট মেয়ে। তাই তার আবদার কি না মেটালে চলে?


আরও পড়ুন- গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে


মা জয়শ্রী সাহার কাছে স্বপ্নেই চেয়ে নেয় ভ্যানিটি ব্যাগ, ম্যাচিং শাড়ি-ব্লাউজ, চটি। গায়ের রং কালো হলে কী হবে। মুখটি ভারী মিষ্টি তাঁর। তার সাজুগুজুরও শেষ নেই। তার চাই নেলপলিশ, বডি স্প্রে, গন্ধ তেল, মুখে মাখার ক্রিম, হাতঘড়ি, সানগ্লাস।


হোক না মা। সে তো সাহাবাড়ির মেয়েই। তার কি ঘুম পায় না? খিদে পায় না? তাই মা ভবতারিণীর ঘরেই সব বন্দোবস্ত। খাটে নিপাট বিছানা। রাতে শোওয়ার পোশাক। সকালে উঠেই টুথব্রাশে পেস্ট লাগিয়ে মুখ ধুইয়ে দিতে হয়। তারপর চা-বিস্কুট।


বাড়িতে যে খাবারই হোক না কেন, বাড়ির ছোট্ট মেয়েটিকে আগে দিতে হয়। না হলে খুব গোঁসা হয় তার। নবদ্বীপের দই, আলুসেদ্ধ ভীষণ ভালবাসে।


আরও পড়ুন- বাবা গেলেও আমি মৃত্যু পর্যন্ত তৃণমূল করব', প্রকাশ্য সভায় বার্তা মুকুল পুত্রের


সত্যনারায়ণ সাহা ও জয়শ্রী সাহার একমাত্র ছেলে সুমন। বাড়ির বউ সোমা। সম্পর্কে ননদ-বউদি। অন্য বাড়ির মতোই ননদ-বউদির ঝগড়াও এখানে নিত্য।


বাবার বোন তো, তাই সুমনের ছেলে মা ভবতারিণীকে পিসিমণি বলেই ডাকে।


৩৫ বছর আগে এ বাড়িতে প্রতিষ্ঠা হয় কালীমূর্তি। তারপর থেকে সাহাবাড়ির ঘরের মেয়ে হয়ে গিয়েছে। অভাব-অভিযোগ, আবদার, দুঃখ-কষ্ট, কালী-র সব বার্তা আসে এক পাগলীর মুখ দিয়ে। প্রতিদিন সাহাবাড়িতে এসে বলে যায় সে। সাহা পরিবারের নিত্যযাপনে এভাবেই আষ্টেপৃষ্টে মিশে রয়েছে ভবতারিণী।


আরও পড়ুন- নদীর চরে গুরুংয়ের গোপন আস্তানায় ২৪ ঘণ্টা