পুজোর মরসুমেই লক্ষ্মীলাভ! করোনা আবহে পর্যটনের হাল ফেরাতে কোমর বাঁধছে রাজ্য
কথায় বলে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। এহেন ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি লকডাউনের ফেরে ঘরবন্দি। বেহাল দশা পর্যটন শিল্পেও। বিপাকে পর্যটনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত এক কোটিরও বেশি মানুষ। তাঁদের সুরাহায় এবার তত্পর রাজ্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোভিডের ধাক্কায় বেহাল পর্যটন। তবে সামনেই পুজোর মরসুম। আর সে কথা মাথায় রেখে এবার জোর দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের পুজো পর্যটনে। পর্যটনকে চাঙ্গা করতে তাই এবার সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করছে রাজ্য। কীভাবে? বাংলার নানা পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে মানুষকে জানাতে ফেসবুক, টুইটারে দেওয়া হচ্ছে ভিডিও ক্লিপিংস। জানানো হচ্ছে কোভিড মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কথায় বলে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। এহেন ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি লকডাউনের ফেরে ঘরবন্দি। বেহাল দশা পর্যটন শিল্পেও। বিপাকে পর্যটনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত এক কোটিরও বেশি মানুষ। তাঁদের সুরাহায় এবার তত্পর রাজ্য।
বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ১৩টি ট্যুরিস্ট লজ ইতিমধ্যেই খুলেছে। কিন্তু,বহু পর্যটকের কাছে তা নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য নেই। অনেকে আবার ভয় পাচ্ছেন কোভিড নিয়ে। পুজোর আগে সেই আতঙ্ক কাটাতে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করছে রাজ্য পর্যটন দফতর। করোনা আবহে লজগুলির সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি ঢেলে সাজানো হয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে ঘরে সেকথা পৌঁছে দিতে চায় রাজ্য সরকার।
পর্যটনকে ফের চাঙ্গা করতে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য
নতুন করে সরকারি টুরিস্ট লজগুলোকে সংস্কার করা হয়েছে
সব ট্যুরিস্ট লজে কোভিড বিধি চালু হয়েছে
নতুন বেডরোল দেওয়া হচ্ছে
সব ট্যুরিস্টের জন্য থাকছে নতুন কিট
সব পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে আলাদা টিজার তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া হচ্ছে
হোম ট্যুরিজমে জোর এবং সেখানে কোভিড বিধি মানার জন্য মালিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে সরকার
পরিবহণ সচিবের আশা, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচার দেশের গণ্ডি পার করে ছাড়িয়ে সহজেই পৌঁছে যাবে বিদেশে। ফলে রাজ্যের পর্যটকদের পাশাপাশি, বিদেশি পর্যটকও আগ্রহ দেখাবেন। পুজোর মরসুমে লক্ষ্মীলাভ হবে পর্যটন ব্যবসায়ীদের।