ওয়েব ডেস্ক: ঘরের মাটিতে প্রবল চাপে পড়ে কৌশল বদল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার। সরাসরি বনধ নয়। উত্তরবঙ্গের ৪ জেলায় চা শ্রমিক ফোরামের ডাকা ধর্মঘটকে সমর্থন জানাল মোর্চা। প্রশাসনিক চাপের মুখে পথে নেমে আন্দোলন কঠিন। তাই পাহাড়ে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চা শ্রমিকদের আন্দোলনই এখন ঢাল মোর্চার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাহাড়ে দুর্গ টালমাটাল। বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েও ব্যাকফুটে গুরুংরা। শুক্রবারের বনধ নিজে পথে নেমে সামাল দেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবারের অর্থনৈতিক অবরোধও কড়া হাতে সামলে দিল প্রশাসন। ঘরের মাঠেই অস্তিত্বের সঙ্কট। চাপের মুখে এবার নতুন স্ট্র্যাটেজি মোর্চার। ন্যূনতম মজুরি সহ একাধিক দাবিতে চা শ্রমিকদের আন্দোলন চলছে। তারই কর্মসূচি হিসেবে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের ৪ জেলায় সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয় বিভিন্ন চা শ্রমিক সংগঠনের যৌথ ফোরাম। সেই ধর্মঘটকে সমর্থন জানাল মোর্চা।


অনেকটা দুহাজার তেরোর আন্দোলনের স্ট্র্যাটেজি। গোর্খাল্যান্ডের দাবি সামনে রেখে মোর্চার আন্দোলনে তখন অচল পাহাড়। বিমল গুরুংদের দাবি ছিল, মোর্চা বনধ ডাকেনি। বনধ করেছেন পাহাড়ের আমজনতা। চার বছর আগের সেই কৌশল এবার হয়তো খাটবে না। প্রশাসনের সাঁড়াশি আক্রমণে বেকায়দায় গুরুংরা। দক্ষ হাতে এবারের পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে প্রশাসন। পথে নেমে আন্দোলন হিংসাত্মক আকার নিলে গ্রেফতারির ভয়ও রয়েছে। তাই চা শ্রমিকদের আন্দোলনকেই ঢাল করল মোর্চা। মুখে তারা বনধ সমর্থনের কথা বলছে। কিন্তু নেপালি ভাষায় জারি প্রেস বিবৃতিতে বনধ সফল করার ডাক দিয়েছে মোর্চা। গুরুংদের কৌশল খুব স্পষ্ট। বনধ সফল হলে ফায়দা তারাই নেবেন। তবে ঝামেলা হলে মোর্চার দায় নেই।