নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য পুলিস কড়া ভাষায় দুষলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। টুইটে ধনখড় লিখেছেন, "এঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নৈরাজ্য ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের আচরণ রাজনৈতিক পুলিসের মত। তাদের সামনেই বিজেপি সভাপতির কনভয়ে হামলা চালিয়েছে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাশাপাশি তিনি আরও লিখেছেন, এদিন সকালেই তিনি মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে সতর্ক করেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। যার উত্তরে মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন যে, সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। এলাকা 'স্যানিটাইজ' করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও এঘটনা আইন-শৃঙ্খলার পতনেরই প্রমাণ।





প্রসঙ্গত, এদিন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার যাত্রাপথে শিরাকোলে ধুন্ধুমার বাধে। BJP নেতৃত্বের কনভয়ের উপর তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। আটকানো হয় বিজেপি সভাপতি J P Nadda-র গাড়ি। কনভয়ে অন্যান্য বিজেপি নেতাদের গাড়িও আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, পাথর ও ইট ছুড়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে অনুপম হাজরার গাড়িও।


শিরাকোলে এদিন সকাল থেকেই TMC-র সভা চলছিল। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ, নাড্ডার কনভয় শিরাকোল মোড়ে পৌঁছতেই চড়াও হন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। আটকানো হয় মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অনুপম হাজরার গাড়িও। 


কিছুক্ষণ আটকে থাকার পর পুলিসের মধ্যস্থতায় জে পি নাডডার গাড়ি ছাড়া হয়। কিন্তু বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির গাড়ি বেরিয়ে যেতেই পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। বাইকে সওয়ার বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে ধুন্ধুমার বেঁধে যায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। কয়েকজন মারধর করা হয়। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, রাস্তায় খুবই অল্প সংখ্যক পুলিস মোতায়েন ছিল। পুলিসের সামনেই হামলার ঘটনা ঘটে।


আরও পড়ুন, 


'বাংলায় গুন্ডারাজ চলছে, এবার Mamata-কে ছুটি দিন', রাজ্য সরকারকে কড়া আক্রমণ Nadda-র


বিজেপির পরিকল্পনা মাফিক হামলায় বাংলার শান্তি নষ্ট হচ্ছে: সুব্রত মুখোপাধ্যায়