নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের সংঘাত ক্রমবর্ধমান। তার মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর ‘হঠাত্ চিঠির জবাব’ পেয়ে মন খুশ রাজ্যপালের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গত ২৫ ডিসেম্বর চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এর আগে অন্য একটি বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন। কিন্তু সে জবাব এখনও পর্যন্ত পাননি। আর তাতেই সাংবাদিক বৈঠক করে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু শেষ চিঠির জবাব মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে আসবে, হয়ত ঘুণাক্ষরে ভাবতে পারেননি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পেতেই সকাল সকাল উচ্ছ্বাসিত টুইট করলেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি যাদবপুরের ঘটনা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। চিঠির জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এটি শিক্ষা দফতরের বিষয়। রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে নির্দেশ দেন তিনি। তারপরই রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়া, গণতন্ত্রে এভাবেই একসঙ্গে চলতে চাই আমরা।




গত ২৫ ডিসেম্বর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিন উপলক্ষে রাজভবনে তাঁর প্রতিকৃতি উন্মোচনে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। অনুষ্ঠানে আসা তো দূর, চিঠির উত্তর দেননি বলে রাজ্যপাল অভিযোগ করেন। সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপালের ক্ষোভ, প্রশাসনের কোনও প্রতিনিধিকেও পাঠানো হয়নি রাজভবনে।


আরও পড়ুন- দিঘার মোহনায় ফের উল্টে গেল মাছবোঝাই ট্রলার, ড্রেজিং নিয়ে উঠছে প্রশ্ন


উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান ঘিরে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের টানাপোড়েন তুঙ্গে ওঠে। রাজ্যপালের নাম না করে একাধিক বার নিশানা দাগিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ রাজ্যপালেরও। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গিয়েও পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে রাজভবনে ফিরে আসতে হয় জগদীপ ধনখড়কে।