Visva-Bharati: পড়য়ার দেহ নিয়ে উপাচার্যের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ; বিশ্বভারতীকাণ্ডে টুইট রাজ্যপালের
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন জগদীপ ধনখড়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'বিশ্বভারতীর উপাচার্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন'। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে টুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Governor Jagdeep Dhankhar)। নবান্ন সূত্রে খবর, বীরভূমের জেলাশাসককে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
পাঠভবনের পড়ুয়ার মৃত্যুতে উত্তাল বিশ্বভারতী। ঘটনার পর দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টার ধরে উপাচার্যের বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। তাঁদের দাবি, ২ দিন আগেও মোবাইলে ছেলের সঙ্গে কথা হয়। তখন ফুচকা খাচ্ছিল সে। হস্টেলে ওই পড়ুয়াকে খুন করা বলে অভিযোগ। এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ক্লাস বয়কটের ডাক দেয় পড়ুয়া। পঠনপাঠন বন্ধ থাকে সমস্ত বিভাগে।
বীরভূমের কোনও হাসপাতাল নয়, ময়নাতদন্তের জন্য দেহ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। রাতে যখন দেহ আনা হয়, তখন আবার উপাচার্যের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এমনকী, গেটে ভেঙে দেহ নিয়ে বাড়ির ভিতরেও ঢুকে যান বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ চলে শান্তিনিকেতন থানার সামনেও।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জি ২৪ ঘণ্টাকে জানিয়েছেন, 'পরিস্থিতি খুবই গম্ভীর। আমি নিজেই খুব চিন্তিত। যেকোন মুহুর্তে এরা ঢুকে গিয়ে যা খুশি করতে পারে'। সঙ্গে যোগ করেন, 'আমি জানি না, মাননীয় রাজ্যপালের বক্তব্য কতটা কার্যকরী হবে, নিশ্চয়ই হবে। তবে এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না'।
মৃত ছাত্রের নাম অসীম দাস। ঘড়িতে তখন ৮টা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর পাঠভবনের উত্তরশিক্ষা হস্টেলের ঘর থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ছেলের মৃত্যু খবর পেয়ে বিশ্বভারতীতে আসেন বাবা-মা। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা।