নিজস্ব প্রতিবেদন: বিকালে খেলতে গিয়ে ঘরে ফিরতে দেরি। আর তাতেই নাতিকে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়ে, বেধড়ক পিটিয়ে ঘরে বন্ধ করে রাখলেন রাগে অগ্নিশর্মা ঠাকুমা। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা শিশুটিকে বন্ধ ঘরে থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ‌যায়। নদিয়ার শন্তিপুরের আরবান্দি গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতলা পাড়া এলাকার ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শিশুটির বয়স ‌যখন ৬ দিন তখন তার মা তাকে ছেড়ে চলে ‌যায়। এক বছরের মাথায় ঘর ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে ‌যায় তার বাবাও। এর পর থেকেই শিশুটি ঠাকুমা ও জেঠিমার কাছে বড় হচ্ছে। বাড়িতে পুরুষ বলতে কেউ নেই। শিশুটির জ্যাঠা ব্যাঙ্গালোরে কাজ করেন। মূলত ঠাকুমাই শিশুটিকে দেখাশোনা করেন।


আরও পড়ুন-মোমোকাণ্ডে রাজ্যে প্রথম গ্রেফতারি! ধৃত ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র


শিশুটির জেঠিমার অভি‌যোগ, তার শাশুড়ি আকাশী নাথ বেশ বদমেজাজী। একবার তাকে পুড়িয়ে মারারও চেষ্টা করেছিলেন আকাশী। শিশুটি এমনিতেই বেশ দুরন্ত। শুক্রবার বিকালে বাড়ি থেকে খেলতে বের হয় সে। সন্ধ্যায় ঘরে ফিরতে বেশ খানিকটা দেরি করে ফেলে। এতেই প্রবল রেগে ‌যান আকাশী।


প্রতিবেশীদের অভি‌যোগ, শিশুটি ঘরে ফিরলে আকাশীর সব রাগ গিয়ে পড়ে শিশুটির ওপরে। সন্ধ্যায় ‌যখন শিশুটি ঘরে ফেরে সে সময় আকাশী রান্নাঘরে গ্যাসের উনুনে তালের বড়া ভাজছিলেন। সেই তেল-সহ গরম খুন্তি দিয়ে শিশুটির হাতে পায়ে ছ্যাঁকা দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেন। শুধু তাই নয়, তাকে ঝাঁটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে দড়ি দিয়ে বেঁধে একটি ঘরে তালা দিয়ে দেন।


আরও পড়ুন-ডোমজুড়ে ব্যাঙ্ককর্মী খুনে ক্লু একটা কাপড়ের টুকরো


মার খেয়ে ও পোড়া ক্ষতের জ্বালায় শিশুটি প্রবল চিৎকার শুরু করে দেয়। চিৎকার শুনে আসপাশের বাড়ি থেকে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। দরজা খুলে শিশুটিকে বের করে বাদকুল্লা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করায়। তাদের দাবি শিশুটির ঠাকুমার কঠিন শাস্তি হোক। ঘটনার পর থেকেই আকাশী নাথ বেপাত্তা।