শ্রীকান্ত ঠাকুর: দূষণমুক্ত পরিবেশ করতে এবং জনবসতি এলাকায় যাতে ক্ষতি না হয় সেই কথা মাথায় রেখে বছর দুয়েক আগে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল শহরাঞ্চলে ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোনও আতশবাজির দোকান থাকবে না। সেই মতই বালুরঘাট পৌরসভার উদ্যোগে বিগত ২ বছর ধরে বালুরঘাট হাই স্কুল মাঠে দীপাবলীর আগে আতশবাজির বাজার বসানো হয় অস্থায়ীভাবে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি তিন দিন আগে থেকেই আতশবাজির বাজার বসেছে এবার নটি বড় দোকান এসেছে, যা গতবারের তুলনায় তিনটি বেশি। প্রথম দিন থেকে ক্রেতারা ভিড় জমিয়েছেন বাজি বাজারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নামে গ্রিন আতশবাজি হলেও আদতে আতশবাজির আড়ালে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের একাংশের। দীপাবলীর রাতে বাজি পোড়ানোর প্রচলন রয়েছে সর্বত্র। বালুরঘাটের প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে বাজি পোড়ানোতে অংশগ্রহণ করেন সাধারণ বাসিন্দারা। যে কারণে বালুরঘাট শহর শুধু নয় বালুরঘাটা আশপাশ অঞ্চল থেকেও সাধারণ মানুষ বাজি কেনার জন্য বালুরঘাটে ভিড় জমান। যার ফলে প্রতিবছর এই সময়ে একটা বড় টাকার ব্যবসা করেন বাজি ব্যবসায়ীরা। এ বছর বৃষ্টির কারণে শনিবার সন্ধ্যে পর্যন্ত সেভাবে বাজি বাজার শুরু হয়নি। তবুও বিক্ষিপ্তভাবে ক্রেতারা আসতে শুরু করেছেন। পৌরসভার তরফ থেকে বালুরঘাট হাই স্কুল মাঠে অস্থায়ী দোকান তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বাজি ব্যবসায়ীদের জন্য। এছাড়াও বিদ্যুৎ সংযোগ, বায়ো টয়লেট এবং পানীয় জলের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত। রবিবার থেকেই ফায়ার ব্রিগেডের একটি ইঞ্জিন এই মেলায় উপস্থিত থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসা সুরক্ষিত করা হলেও বাজি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এখনও লুকিয়ে চুরিয়ে জনবসতিপূর্ণ এলাকাতে বাজি বিক্রি চলছে। প্রশাসনের উচিত সেই সমস্ত বাজি বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া, না হলে যে উদ্দেশ্যে বাজি বাজার তৈরি করা হয়েছে তার উদ্দেশ্য সফল হবেন না।


আরও পড়ুন:Malbazar | Diwali | Anondomoyee Kali: আট রকমের মাছ দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয় আনন্দময়ী কালীবাড়িতে...


অন্যদিকে, ক্রেতাদের একাংশ ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে না চাইলেও তাদের অভিযোগ সবুজ আতশবাজি বা পরিবেশবান্ধব আতশবাজি নাম দিয়ে নতুন মোড়কে পুরনো নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি হচ্ছে দেদার। সেদিকেও প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত। বালুরঘাটের থানা থেকে ঢিল ছড়া দূরত্বে এই বাজিবাজারে নিষিদ্ধ বাজির কারবার চলছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। অবশ্য বিক্রেতারা বলছেন সরকারি নিয়ম মেনেই তারা দোকান করেছেন এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত পদক্ষেপ যেমন গ্রহণ করা হয়েছে তেমনি সরকারি নির্দেশ মেনেই তারা বাজে বিক্রি করছেন।


বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশ মেনেই পৌরসভা যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং দিন দিন ব্যবসায়ির সংখ্যা বাড়ছে। যার ফলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে পৌরসভার তরফ থেকে আবেদন করা হয়েছে পরিবেশবান্ধব বাজি ব্যবহার করার জন্য এবং যাতে দূষণমুক্ত বালুরঘাট করা যায় তার জন্য সাধারণ মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র।


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)