সুকিয়াপোখরি: পাহাড়ে ফের থানা লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা। কালিম্পংয়ের পর এবার গ্রেনেড হামলা সুকিয়াপোখরিতে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সুকিয়াপোখরিতে ইম্প্রোভাইড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে। অভিযোগের আঙুল মোর্চার দিকেই। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সূত্রের খবর মধ্যরাতে সুকিয়াপোখরিতে থানা লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তারের জালে গ্রেনেড আটকে যাওয়ায় রক্ষা পেয়েছে থানা। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। পুলিস ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে যে দুষ্কৃতী দল হামলা চালিয়েছে তারাই কি সুকিয়াপোখরিতে গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে রয়েছে, তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দারা।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সুকিয়াপোখরিতে গ্রেনেড হামলার নিন্দা করে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব জানিয়েছেন,"এই ঘটনা নিন্দনীয়। আমরা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বারেবারে চেষ্টা করছি পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে।  দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, এবার সেই ঘটনা সুকিয়াপোখরিতেও"। এই হামলায় মোর্চা নেতা বিমল গুরুংকেই দায়ী করেন গৌতম দেব। তিনি বলেন, "বিমল গুরুং এবং তাঁর দলবলই এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে"। এদিন এই ঘটনার পর কেন্দ্র সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেব। "কেন্দ্র সরকারকে উপযুক্ত ভূমিকা নিতে হবে", মন্তব্য পর্যটন মন্ত্রীর।   



পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সুকিয়াপোখরিতে গ্রেনেড হামলায় মদত রয়েছে যুব মোর্চার। সূত্রের খবর, যুব মোর্চার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বিমল গুরুংয়ের। যদিও পাহাড়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল এই ঘটনার নিন্দা করেছে। এই ঘটনা আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রশাসনের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন আলোচনার রাস্তা খুলে একটা সমাধান সূত্রের খোঁজ করছেন, তখন থানা লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা পাহাড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে, মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এই বিষয়ে তৈরি হচ্ছে ধন্দ। 'অন্তর্ঘাত' হচ্ছে না তো? এই প্রশ্নই এখন আসল চিন্তা পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলোর।