ওয়েব ডেস্ক: রাজপথে ৩০-৪০ হাজার কর্মী সমর্থকের মিছিল। দিনভর পাহাড়ে শক্তি দেখানোর চেষ্টা করল মোর্চা। তবে, আজ আর কোনও উস্কানি নয়। চার মৃত সমর্থকদের দেহ নিয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিল করলেন গুরুংরা। সংযত রইল পুলিসও। আড়াই ঘণ্টার মিছিলে বাধা দিল না নিরাপত্তা বাহিনী। সবমিলিয়ে আজ অনেকটাই শান্ত পাহাড় ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লাঠি-গুলি-রক্ত। পুলিস-মোর্চা খণ্ডযুদ্ধ। সিংমারি-ঘুমের এছবি অতীত। চার সমর্থকের মৃত্যু। প্রতিবাদের কালাদিবসের ডাক মোর্চার। সংঘাতের আশঙ্কায় সকাল থেকেই চকবাজার মুড়ে ফেলা হয় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায়।


ঘড়িতে বারোটা। চকবাজারে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে শুরু হয় মোর্চার জমায়েত। বিজনবাড়ি-সোনাদা-ঘুম থেকে একের পর এক মিছিল এসে জড়ো হয় চকবাজারে। দেখতে দেখতে সমর্থকদের সংখ্যাটা ৩০-৪০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। চার সমর্থকের দেহ নিয়ে আড়াই ঘণ্টা ধরে দার্জিলিঙের  রাজপথ দাপিয়ে বেড়ায় । মোর্চা কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি  মিছিলে পা মেলান বহু অগোর্খা মানুষ।  ছিলেন সংখ্যালঘু ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও।


SP-র নেতৃত্বে আগাগোড়া মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিসবাহিনী। কিন্তু, অন্যদিনের মতো মিছিল আটকানোর কোনও চেষ্টা হয়নি। উস্কানি আসেনি মোর্চার দিক থেকেও। টান টান স্নায়ুর লড়াইয়ের দুপক্ষই ছিল সংযত। মৃত মোর্চা কর্মীদের মরদেহে সম্মান জানাতে দেখা যায় পুলিস সুপারকেও।


রাজনৈতিক মহল বলছে, সংযত আচরণের মধ্যে দিয়ে দ্বিমুখী কৌশল নিল মোর্চা । একদিকে, রাজপথে ৩০-৪০ হাজার কর্মী সমর্থকের জমায়েত করে পাহাড়ের বুকে তাদের শক্তি বোঝালেন গুরুংরা। অন্যদিকে, তরাই ডুয়ার্সে আন্দোলন ছড়িয়ে পাহাড়ের পাশাপাশি, সমতলেও ব্যস্ত রাখলেন প্রশাসনকে।


রাষ্ট্রসংঘের ডাকে নেদারল্যান্ডস যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়