নিজস্ব প্রতিবেদন : হালিশহরে বিজেপি বুথ সভাপতি সৈকত ভাওয়াল খুনের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করল বীজপুর থানার পুলিস। ধৃতদের নাম সোমনাথ গাঙ্গুলি, অভিজিত্ দাস ও বাবাই। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা প্রত্যেকেই হালিশহরের বাসিন্দা। প্রসঙ্গত, খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে মোট ৪ জনকে আটক করে বীজপুর থানার পুলিস। জেরায় অসঙ্গতি মেলায় পরে তাদের মধ্যে থেকেই ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওদিকে খুনের ঘটনায় এদিন সকাল থেকেই ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বীজপুর থানায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিজেপি কর্মীরা। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও বেধে যায়। থানার পাঁচিলে উঠে উত্তেজিত কর্মী, সমর্থকদের শান্ত করার, সামলানোর চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে শুভ্রাংশু রায়কে। খুনের ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে, খুনের ঘটনায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেন, "আমরা যতদূর শুনেছি, এটা নন পলিটিক্যাল কোনও একটা গন্ডগোলের কারণে হয়েছে। পুলিস তদন্ত করছে। তদন্ত করে দেখুক কী হয়।"


হালিশহর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ সভাপতি ছিলেন সৈকত ভাওয়াল। গতকাল রাতে দলের গৃহসম্পর্ক অভিযান চলাকালীন দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন তিনি। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা বাঁশের মাথায় পেরেক লাগিয়ে এনেছিল। সঙ্গে ছিল হকি স্টিক ও লোহার রড। প্রায় ৬ টি বাইকে করে এসেছিল ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতী। কাজ হাসিল করেই বাইকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীদল।


খুনের পরই একের পর এক বিজেপি নেতা শাসকদলকে কড়া আক্রমণ করেন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "ভুল পথে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে। বাংলার মানুষ বেশিদিন এসব বরদাস্ত করবে না।" বিজেপি নেতা শুভ্রাংশু রায় হুঁশিয়ারি দেন, "'ঘটনার বদলা হবে।" সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় টুইট করেন, "পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র মৃত।"


আরও পড়ুন, 'ব‌ই লেখার কাজ দ্রুত শেষ করতে চাই', চিকিৎসকদের বারবার বলছেন বুদ্ধবাবু


'বেসুরো' রাজীবের মানভঞ্জনে আজই মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে তৃণমূল নেতৃত্ব