নিজস্ব প্রতিবেদন: হালিসহরের কবিরাজপাড়ায় মোবাইল সংস্থার কর্মীর রহস্যমৃত্যুর পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা তাঁরই প্রেমিকার। ঘটনাকে ঘিরে ফের চাঞ্চল্য। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



জানা গিয়েছে, প্রেমিক চয়ন বণিকের মৃ্ত্যুর পর থেকেই কারোর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল তৃষা মণ্ডল নামে ওই তরুণী। সোমবার সকালে নিজের ঘরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে সে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তা দেখে ফেলায়, দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কল্যাণী জেএনএন হাসপাতালে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা।


অন্যদিকে, চয়ন বণিকের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে নেমেছে ফরেনসিক দল। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তদন্তকারীরা। যে ঘরে চয়নের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই ঘরেরই কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। বাজেয়াপ্ত করা হয় খুনের জন্য ব্যবহৃত মই, দড়ি, কাপড়। কয়েকজনের হাতের ছাপও পাওয়া গিয়েছে।


তদন্তকারীরা নিশ্চিত যে, ঘটনার দিন চনকে অত্যাধিক মদ্যপান করানো হয়েছিল। এরপর তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। দেহ কাপড়ের সঙ্গে বেঁধে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।


কাজের বাড়ির মালিকের সঙ্গে নয়, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল দেওরের সঙ্গেই, নিমতা খুনে ফের নয়া তথ্য


কিন্তু আততায়ীরা প্রফেশনাল না হওয়ায়, একটা ছোট্ট ভুল করে ফেলে। খুনের সময় চয়নের দুটো হাত পিছনে বেঁধেছিল তারা। হাতের দড়ি না খুলেই তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। আর এই সূত্রই পুলিসকে সাহায্য করে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।


সোমবার মোবাইল সংস্থার কর্মী চয়ন বণিকের দেহ উদ্ধার হয় তাঁরই হালিসহরের কবিরাজপাড়ার ঘর থেকে। তাঁর হাত বাঁধা ছিল। তদন্তে উঠে আসে দুই বন্ধুর নাম। নামী সংস্থার কাজ করার সুবাদে অর্থ উপার্জন ও এলাকারই তরুণী তৃষার সঙ্গে প্রেম-এই নিয়ে ইর্ষান্বীত হয়েই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিসের। জানা গিয়েছে, তৃষার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল চয়নের ওই দুই বন্ধুরও। তাই নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়।


পুলিস অভিযুক্ত ২জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এরই মধ্যে তৃষার আত্মহত্যার চেষ্টা ঘটনায় অন্য মোড় এনেছে।