হালিসহর পুরসভায় অনাস্থা ইস্যুতে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ বিজেপির
তাঁদের দাবি, এই প্রস্তাব ত্রুটিপূর্ণ। মামলাকারীদের আরও দাবি, বিজেপি নয়, তৃণমূল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন তৃণমূলের কাউন্সিলরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হালিসহর পুরসভার অনাস্থা ইস্যু এবার পৌঁছল হাইকোর্টে। আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন বিজেপি কাউন্সিলরদের একাংশ। নিয়ম মেনে অনাস্থা আনা হয়নি, এমনটাই অভিযোগ করছেন মামলাকারীরা। কেন অনাস্থা আনছেন, তা প্রস্তাবে বলা হয়নি বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। তাঁদের দাবি, এই প্রস্তাব ত্রুটিপূর্ণ। মামলাকারীদের আরও দাবি, বিজেপি নয়, তৃণমূল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন তৃণমূলের কাউন্সিলরা। আগামী ৬ মাস অনাস্থা আনা ঠেকাতেই এই পদ্ধতি নিয়েছে তৃণমূল।
এদিকে, আজই হালিসহর পুরসভার অনাস্থা বৈঠক। ২৩ আসনের হালিসহর পুরসভায় ম্যাজিক ফিগার ১২। একজন নির্দল, একজন বিজেপি। ২৮ মে তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে হালিসহর পুরসভা দখল করে বিজেপি। ১৭ জন তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর ১০ জুলাই ৯ জন কাউন্সিলর হালিসহর পুরসভায় এসে দাবি করেন, তাঁরা সকলেই তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যা হল ১২। বিজেপির দখলে ৯টি আসন।
“চেয়ার আঁকড়ে আছেন কেন? আপনি কেন এত নির্লজ্জ?”, বনগাঁর চেয়ারম্যানকে চরম ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
সম্প্রতি হালিসহর পুরসভার ১১জন কাউন্সিলর পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। আনছে যার মধ্যে২ জনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
তারপরই পুরপ্রধান অংশুমান রায় শুক্রবার বৈঠক ডাকেন। এক্ষেত্রে মামলাকারীদের অভিযোগ, তৃণমূলই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনাস্থাএনেছে। সেক্ষেত্রে তাদের একটি অভিসন্ধিও রয়েছে। যাতে আগামী ৬ মাস তৃণমূল চেয়ারম্যান অংশুমান রায়ের বিরুদ্ধে কেউ অনাস্থা আনতে না পারে, তার জন্যই এই পদক্ষেপ তৃণমূলের।