নিজস্ব প্রতিবেদন:  প্রেম করে বিয়ে। তার একমাসের মধ্যেই শ্বশুরবাড়িতে রহস্যমৃত্যু হল নাবালিকার। ঝুলন্ত উদ্ধার হলেন তাঁর স্বামীও। উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোচিং ক্লাস থেকে পরিচয়। বন্দুত্বের রং গাঢ় হয় ধীরে ধীরে। একে অপরের প্রতি যে দুর্বল হয়ে পড়েছে, তা বুঝতে বেশি দেরি হয়নি বীজপুরের বছর আঠেরোর অনিমেষ বিশ্বাস ও চোদ্দো বছরে রিনিকার। প্রেম চলতে থাকে চুপিসারে। কিন্তু, দুই পরিবারই জেনে যায় এই সম্পর্কের কথা। প্রথমে আপত্তি, কিছুটা অশান্তি, কিন্তু তারপর সন্তানদের আনন্দের কথা ভেবে সম্পর্ক মেনে নেয় রিনিকার পরিবার। কিন্তু আপত্তি থেকেই যায় অনিমেশের পরিবারের।


আরও পড়ুন: অকথ্য যৌন অত্যাচারের পর গোপনাঙ্গে ঢোকানো হল ধাতব বস্তু, বেরিয়ে এল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ!


বেআইনিভাবে হলেও, অনিমেষের সঙ্গেই নাবালিকা রিনিকার বিয়ে দিয়ে দেন তাঁর বাবা-মা। এবছরই সরস্বতী পুজোর দিনই হয় মধুরেণ সমাপয়েত। এরপরই বেশ কিছুদিন সুখেই কাটছিল রিনিকা-অনিমেষের ছোট্ট সংসার।


ছেলের বিয়ে যে এত তাড়াতাড়ি দিতে চাননি অনিমেষের বাবা-মা, তা ভালোভাবেই জানতেন রিনিকার পরিবার। কিন্তু আপোশ করেই হয়েছে বিয়ে। তাঁরা ভেবেছিলেন, মেয়ের বিয়ের পর সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কিছুই যে ঠিক হওয়ার ছিল না তার প্রমাণ মিলল মঙ্গলবার। মঙ্গলবার যখন মেয়ে-জামাইয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের খবর পৌঁছল রিনিকার পরিবারের কাছে, তখনই নিজেদের ভুল ভাঙে তাঁদের। অশান্তির আঁচ করেছিলেন, কিন্তু এমন চরম পরিণতির কথা হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তাঁরা।


আরও পড়ুন: জলভর্তি বালতিতে ডুবে মৃত্যু মেটিয়াবুরুজের দেড় বছরের শিশুর


রিনিকার পরিবারের অভিযোগ, ছেলে ও বউমা দুজনকেই খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু ছেলের পরিবারের অমতে মেয়ের এত তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে কি আদৌ ঠিক করেছেন তাঁরা? আফসোস করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই রিনিকার বাবা-মায়ের।