নিজস্ব প্রতিবেদন:   ২৪ঘণ্টার মধ্যেই শিলিগুড়ির সুভাষপল্লির কঙ্কালকাণ্ডের কিনারা করল পুলিস। তদন্তে যা উঠে এসেছে তাতে কোথাও প্যারানরমাল অ্যাক্টিভিটির চিহ্ন মাত্র নেই।

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, বাড়িমালিক খোকন চক্রবর্তীর মেয়ে পৌলমি চক্রবর্তীর বিয়ে হয় চিকিত্সক প্রতীক বোসের সঙ্গে। পৌলমি চক্রবর্তী বলেন , “প্রতীক যখন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পড়াশোনা করতেন তখন তাঁর বইপত্রের একটি ট্রাঙ্ক আমার বাড়িতে রেখে দেওয়া হয়েছিল।”


তারপর প্রতীক বোস শিলিগুড়ির বাইরে চলে গেলে ট্রাঙ্কটা তাঁদের বাড়িতেই রয়ে যায়। ভিক্টরের ঘরে সেই ট্রাঙ্ক ছিল। হয়তো অর্থাভাবে কারণে ভিক্টর সেই ট্রাঙ্ক খুলে বইপত্র বিক্রি করেছে । পড়াশোনার সুবিধার্থে সেই ট্রাঙ্কে বইপত্রের সাথে ছিল দুটি মানুষের মাথার খুলি এবং বেশ কিছু হাড়। বই বিক্রি করার পর সেই হাড়গুলো ভিক্টর বাড়ির চারপাশে ছিটিয়ে দেয় বলেই জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: কঙ্কালের সঙ্গে 'সহ-বাস'! বাড়ির ভিতর উদ্ধার একাধিক খুলি, হাড়গোড়, শিলিগুড়িতে হাড়হিম করা ঘটনা

জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির সুভাষপল্লির ওই বাড়র বাসিন্দা ছিলেন খোকা চক্রবর্তী ও তাঁর স্ত্রী। বছর ১৫ আগে তাঁদের মৃত্যু হয়। ওই একই বাড়িতে বাবা, মায়ের সঙ্গে থাকতেন তাঁদের ভাগ্নে ভিক্টর চক্রবর্তী। ভিক্টর পেশায় বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী। এলাকাবাসীর বক্তব্য, বেশ কিছুদিন আগে ভিক্টরের বাবা-মায়েরও মৃত্যু হয়। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ভিক্টর। তারপরই বাড়ি থেকে হাড়গোড় উদ্ধারের ঘটনায় উঠে আসে একাধিক প্রশ্ন। যদিও সেগুলিকে নস্যাত্ করেছেন তদন্তকারীরা।