`জেলে থাকা উচিত আপনার`, দাড়িভিট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিধায়ক
কেন ২০ সেপ্টম্বর ওই দুই শিক্ষককে নিয়োগ করাতে স্কুলে ডেকে আনা হয়? প্রধান শিক্ষক অভিজিত কুণ্ডুর কাছে জানতে চান বিধায়ক।
নিজস্ব প্রতিবেদন : দাড়িভিট কাণ্ডে প্রায় ৩ সপ্তাহ পর প্রকাশ্যে এলেন প্রধান শিক্ষক। ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ প্রাক্তন ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার ২৮ দিন পর সামনে এলেন প্রধান শিক্ষক অভিজিত কুণ্ডু।
জানা গিয়েছে, এদিন দাড়িভিট হাইস্কুলের সকল শিক্ষক ইসলামপুরের বিধায়ক তথা পুরপ্রধান কানাইয়ালাল আগরওয়ালার সঙ্গে দেখা করেন। তখনই স্কুলে আসেন প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ কুণ্ডু। তাঁকে দেখেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন বিধায়ক। সরাসরি অভিজিত কুণ্ডুর কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন কানাইয়লাল। জিজ্ঞাসা করেন, "আপনি বাইরে কেন?" অভিজিত কুণ্ডুর এখন জেলা থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন, তৃণমূল কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে
স্কুলে উর্দু শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে গত ২০ সেপ্টেম্বর রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল। ছাত্রবিক্ষোভের জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিসের সঙ্গে পড়ুয়াদের ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণ নামে ২ প্রাক্তন ছাত্রের। অভিযোগ, পুলিসের গুলিতেই মৃত্যু হয় ২ ছাত্রের।
আরও পড়ুন,তিতলির প্রভাবে বৃষ্টি শুরু কলকাতায়, রাতভর চলবে বর্ষণ
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নিহত ২ ছাত্রের বাবা। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি দাবি করেছেন, নিহত ছাত্রদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এদিন প্রধান শিক্ষক অভিজিত কুণ্ডুকে স্কুলে দেখা মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কানাইয়ালাল আগরওয়ালা। ১৮ সেপ্টম্বর পরিচালন সমিতির বৈঠককে উর্দু ও সংস্কৃত শিক্ষক নিয়োগ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার দুদিনের মাথাতেই কেন ২০ সেপ্টম্বর ওই দুই শিক্ষককে নিয়োগ করাতে স্কুলে ডেকে আনা হয়? প্রধান শিক্ষক অভিজিত কুণ্ডুর কাছে জানতে চান বিধায়ক। বিধায়কের এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক।
আরও পড়ুন, বাপের বাড়ি থেকে টানা আনেনি স্ত্রী, স্বামীর হাতে মর্মান্তিক পরিণতি
বৈঠক সেরে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে অভিজিৎ কুন্ডু জানান, স্কুল খোলার বিষয়ে আলোচনা করতে এসেছিলেন। প্রসঙ্গত, সেদিন বিক্ষোভের পর থেকেই বন্ধ রয়েছে স্কুল। মাঝখানে ১ অক্টোবর স্কুল খোলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভে বসেন নিহত ছাত্রদের মা ও গ্রামবাসী। গুলি চলার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত মঞ্জুর না হওয়া পর্যন্ত কোনওভাবে স্কুল খুলতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।