Malbazar | Jalpaiguri: টানা ভারী বৃষ্টি! জল বাড়তে শুরু করেছে ডুয়ার্সের নদীগুলিতে...
Heavy Rain: সকালের দিকে ডুয়ার্সের নদীগুলিতে জল ছিল না সেভাবে। তবে বেলা বাড়তেই জল বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন নদীতে। পাহাড়ে একটানা বৃষ্টির জেরে সমস্ত পাহাড়ী নদীর জল বেড়েছে।
প্রদ্যুত দাস ও অরূপ বসাক: বৃষ্টি বাড়লেই সিঁদুরে মেঘ দেখেন তিস্তানদীসংলগ্ন ও নদীসন্নিহিত অঞ্চলসংলগ্ন মানুষজন। প্রতিবছরই ঘোর গ্রীষ্মের পরে একেবারে আকাশভাঙা বৃষ্টি নামে এ অঞ্চলে। আর প্রতিবারই ঘটে নানা বিপর্যয়।
আরও পড়ুন: Sikkim Monsoon Landslide: ফের বিপর্যয়! টানা বৃষ্টিতে ধস, একাধিক সড়ক বন্ধ, বিপাকে পর্যটকেরা...
জলপাইগুড়ি জেলার মোরাঘাট রেঞ্জের বিভিন্ন বনবস্তিতে বন্যপশুর আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল প্রচার করল বন দফতর। বেশ কিছু দিন ধরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমান্যতা কমে এসেছে। দেখতে না পাওয়ার কারণে অচিরেই জঙ্গলের থেকে হাতি-সহ বিভিন্ন বন্য প্রাণীর হামলায় প্রাণ যেতে পারে বনবস্তির বাসিন্দাদের। মূলত তাঁদেরই সচেতন করতে বিশেষ উদ্যোগ নিলেন মোরাঘাট জঙ্গলের রেঞ্জার রাজকুমার পাল। এদিন জলপাইগুড়ি জেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চল-লাগোয়া বনবস্তি এলাকায় মাইকিং করে সচেতনবার্তা প্রচার করেন মোরাঘাট রেঞ্জের কর্মীরা।
এদিকে, সকালের দিকে ডুয়ার্সের নদীগুলিতে জল ছিল না সেভাবে। তবে বেলা বাড়তেই জল বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন নদীতে। পাহাড়ে একটানা বৃষ্টির জেরে সমস্ত পাহাড়ী নদীর জল বেড়েছে। আর যে কারণে সমতলেও ফুলে-ফেঁপে উঠেছে নদীগুলি। ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের সুখানি নদীর জল বেড়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার মনমোহনধুরা যাওয়ার পথে সেতুর উপর দিয়ে বইছে সুখানি নদীর জল। ওই সেতুর উপর দিয়ে মনমোহনধুরার মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে ওই সেতুর উপর দিয়ে জল বইতে থাকায় মনমোহনধুরা গ্রামের সঙ্গে নাগরাকাটা বাজারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জল না কমা পর্যন্ত যাতায়াত অসম্ভব। এখানে প্রতি বছরই এমন হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: Alien: 'এলিয়েন' রয়েছে আপনার পাশেই, কিন্তু চিনতে পারছেন না হয়তো, হয়তো সে...
আজ বিকেলের দিকে তিস্তায় বন্যা-পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটে। জানা যায়, কমিয়ে আনা হয়েছে জল ছাড়ার পরিমাণ। আজ বেলা ২টো নাগাদ গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছিল ২৪০০ কিউসেক। বেলা ৩ টে নাগাদ জল ছাড়া হয়েছে ১২৭২.৪৭ কিউসেক।