নিজস্ব প্রতিবেদন: হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ময়না তদন্তে প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে কেমিক্যাল তদন্ত এখনও বাকী। ওই রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ আরও স্পষ্ট হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কী ভাবে এক মাসেই শেষ রাশিয়ার করোনার টিকার তিন পর্যায়ে হিউম্যান ট্রায়াল? উঠছে প্রশ্ন


এদিকে, মৃত বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথের পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিস। সেখানে বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে। তার মধ্যে একজন হলেন নিলয় সিনহা। অন্যজন মাবুদ আলি। নিলয় সিনহাকে আটক করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিস। মাবুদ গা ঢাকা দিয়েছে। তাকে খুঁজছে পুলিস।


মঙ্গলবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,"প্রয়াত বিধায়কের পকেটে একটি নোট পাওয়া গিয়েছে। যেখানে তাঁর নিজের হাতে লেখা কিছু তথ্য, দুটি ছবি এবং দুটি ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে ওই দুই ব্যক্তির সম্পর্কে কিছু মন্তব্যও করা আছে।"


কে এই নিলয় সিনহা ও মাবুদ আলি?


পুলিসের তদন্ত উঠে এসেছে, বাম আমল থেকে মোহিনীগঞ্জ মিনি ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ছিলেন মৃত বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়। ওই ব্যাঙ্কেরই বিন্দোল ব্রাঞ্চের ম্যানেজার ছিলেন কৃষ্ণপুরের গোপাল মালাকার। দেবেন্দ্রনাথ রায় এবং গোপাল মালাকার মিলে চাল কলের ব্যবসা করার পরিকল্পনা করেন। সেই সূত্রে গোপাল মালাকার মাবুদ আলির সঙ্গে দেবেন্দ্রনাথবাবুর আলাপ করিয়ে দেন। আবার মাবুদের মাধ্যমেই ইংরেজবাজারের নিলয় সিনহার পরিচয় হয়। এরপর রায়গঞ্জে দেবেন্দ্রনাথ রায়ের বাড়িতে বছর ছয়েক ভাড়া ছিলেন নিলয় সিনহা।


আরও পড়ুন-অবশেষে কড়া সিদ্ধান্ত, উপ মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে বরখাস্ত সচিন পাইলট


ব্যবসা শুরুর জন্য মাবুদের মাধ্যমে নিলয়কে প্রায় দেড় কোটি টাকা দেন দেবেন্দ্রনাথ রায়। ২০১৬ সালে দেবেন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে মোহিনীগঞ্জ ব্যাঙ্ক থেকে ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা আত্মসাত্‍ করার অভিযোগ ওঠে। রায়গঞ্জে সম্পত্তি বন্ধক রেখে নাবার্ডের কাছ থেকে আরও ২৫ লক্ষ টাকা ঋণ নেন দেবেন্দ্রনাথ।
 
পুলিসের ধারনা, বারবার চেষ্টা করেও নিলয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না বিজেপি বিধায়ক। টাকা উদ্ধারের জন্য মাবুদই তখন ওঠে একমাত্র ভরসা। বিধায়কের কললিস্ট খতিয়ে দেখা গিয়েছে , মৃত্যুর দিনও একাধিকবার দেবেন্দ্রনাথের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয় মাবুদের।