Sikkim Cloud Burst | Teesta Flash Flood: তিস্তার রুদ্রমূর্তিতে আতঙ্ক ছড়াল বনাঞ্চলে! শহরমুখি বুনো হাতির দল
Sikkim Cloud Burst | Teesta Flash Flood: জলপাইগুড়ি শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রায়পুর চা বাগান। বুধবার সন্ধ্যায় ওই চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় এসে পড়েছে প্রায় ৮০ টি হাতির দল। বনদপ্তর সুত্রে জানা গেছে বুধবার হাতির দলটি ছিল বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা এলাকায়।
প্রদ্যুত দাস: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভয়ংকর রূপ ধারন করেছে তিস্তা। সিকিমে ইতিমধ্যেই ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। দশ নম্বর জাতীয় সড়কের বহু জায়গা ভেঙে চুরমার। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। তিস্তার গাইড বাঁধ ভেঙে হুহু করে জল ঢুকছে গজলডোবার ঝিল এবং ভোরের আলোর বাঁধের দিকে। এমনিতেই প্রবল জলের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত ছিল তিস্তার নদীর এই গাইড বাঁধ। প্রায় ১০০-১৫০ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। সেই জল ঢুকে কোথাও কোথাও বনাঞ্চলেও ঢুকেছে। এরকম এক পরিস্থিতিতে হাতিদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়াছে বনকর্মীদের। এনিয়ে ইতিমধ্যেই মাইকিং করে বনদপ্তরের তরফে এলাকার মানুষদের সচেতন হচ্ছে।
আরও পড়ুন-ভয়াবহ! আশঙ্কা ছিলই, ভেঙে গেল তিস্তার বাঁধ, জল ঢুকছে হুহু করে...
তিস্তার জল বাড়ায় হাতির দল জঙ্গলের দিকে না গিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে বলে জানান, বৈকন্ঠপুর ডিভিশনের বেলাকোবা রেঞ্জের এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের কর্তব্যরত কর্মী জ্যোতি দাস। রাতভর হাতি পহারায় বনদপ্তরের বেলাকোবা রেঞ্জের এলিফ্যান্ট স্কোয়াড। বাজি, পটকা ফাটিয়ে হাতি তাড়াতে ব্যস্ত বনদপ্তরের কর্মীরা। রাতে সার্চলাইট জ্বালিয়ে হাতির গতিবিধির উপর নজর রাখছেন বন দপ্তরে কর্মীরা। লোকালয়ে একসঙ্গে হাতির পাল চলে আসার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাতের ঘুম উড়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাতভর হাতির দলটির গতিবিধির উপরে নজর রাখছেন এলিফ্যান্ট স্কোয়াড টিমের কর্মীরা।
জলপাইগুড়ি শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রায়পুর চা বাগান। বুধবার সন্ধ্যায় ওই চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় এসে পড়েছে প্রায় ৮০ টি হাতির দল। বনদপ্তর সুত্রে জানা গেছে হাতির দলটি ছিল বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা এলাকায়। এরপর পুরো দলটি ঢুকে পরে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাতাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন রংধামালী লাগোয়া রায়পুর চা বাগান সংলগ্ন ঠেনগীপাড়া এলাকায়। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছে যান বনদপ্তরের কর্মীরা।
এদিকে, বন্যা থেকে বাঁচতে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাটকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন রংধামালি বিএফটি স্কুল ও সংলগ্ন পাশে কিছু জায়গায় প্রায় ২৫০ মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের সহযোগিতায় তিস্তার মৌয়ামারি চর এলাকার শিশু-সহ বহু মানুষজনকে নৌকা ও বোট নিয়ে গিয়ে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসা হয়। বুধবার রাতে তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। থাকার ব্যবস্থা হয় স্কুল ঘরে। তিস্তার করাল গ্রাসে এই পরিবারগুলোর গবাদি পশু সহ ধান, লঙ্কা সহ ইত্যাদি বহু ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় কোনমতে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন তারা। তিস্তার জলস্ফীতি খুব কাছ থেকে দেখে রাতের ঘুম উড়েছে এই মানুষগুলোর।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)