নিজস্ব প্রতিবেদন : মা-বাবার পরই একজন শিশুর কাছে সবচেয়ে বড় আপনজন হয় তার শিক্ষক। ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক একদিকে যেমন শ্রদ্ধার, তেমনই স্নেহের। শৈশবে বহু ক্ষেত্রেই একজন ছাত্র বা ছাত্রীর প্রিয়বন্ধু হয়ে ওঠেন তার শিক্ষক বা শিক্ষিকা। শিশুমনের বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকেন একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা। দেশ গড়ার কারিগর বলা হয় তাঁদের। কিন্তু সেই শিক্ষিকাই অমানবিকতার নজির তৈরি করলেন হাওড়ার বেলুড়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৫ বছরের ছাত্রের শরীরে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহশিক্ষিকার বিরুদ্ধে। বেলুড়ের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ে ওই ছাত্র। প্রতিদিনই স্কুল থেকে ফিরে গৃহশিক্ষিকার কাছে পড়তে যেত সে। অন্যান্যদিনের মত বৃহস্পতিবারও স্কুল থেকে ফিরে বেলুড়ের গিরিশ ঘোষ রোডে গৃহশিক্ষিকার কাছে পড়তে যায় আপার কেজির পড়ুয়া ওই ছাত্র।


আরও পড়ুন, ১১টি প্রশ্নের 'ভুল'কে স্বীকৃতি, হাইকোর্টের নির্দেশে প্রশ্নের মুখে ২০১৪-র প্রাইমারি টেট


নিগৃহীত ওই শিশু জানিয়েছে, তাকে পড়া ধরে গৃহশিক্ষিকা। কিন্তু সে 'দিদিমণি'কে সেই পড়া দিতে পারেনি। অভিযোগ, তারপরই তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। পুড়ে যায় শরীরের বিভিন্ন জায়গা। ঊর্ধ্ববাহু, দুই হাতের পাতা, তালু, আঙুল, থাই, হাঁটু, পায়ের পাতা প্রভৃতি বিভিন্ন জায়গায় চামড়া পুড়ে গিয়ে গভীর ক্ষত তৈরি হয়।


এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নিগৃহীত ছাত্রের পরিবার। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে। অবিলম্বে অভিযুক্ত শিক্ষিকার কড়া শাস্তির দাবি করেছে ওই ছাত্রের বাড়ির লোকেরা। উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষকদের হাতে ছাত্রনিগ্রহের ঘটনা সামনে এসেছে। ছাত্রকে মেরে কান ফাটিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষকের মারে কালশিটে পড়ে গেছে ছাত্রের পিঠে।


আরও পড়ুন, স্বামীর সঙ্গে থাকেন না মহিলা, 'সুযোগ নিল' প্রতিবেশী যুবক, পরিণতি ভয়ঙ্কর


মনস্তত্ত্ববিদদের মতে, অবসাদের জেরেই এধরনের প্রতিহিংসাপরায়ণ মানসিকতা গড়ে ওঠে শিক্ষকদের মধ্যে। যার প্রভাব পড়ছে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর। এই ঘটনা এড়ানোর জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যথোপযুক্ত কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।