শ্রীকান্ত ঠাকুর: তীব্র শীত আর কুয়াশায় এবারে বাজার মন্দ মধুচাষিদের। দক্ষিণ দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সরষে চাষ হয়। সেই সর্ষে ফুল থেকে মৌমাছিদের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করেন মধু সংগ্রহকারীরা। এবারও তাঁরা এসেছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Nadia: এঁচড়েই পাকা অর্থনীতি! শীতকালেও দিব্য চাষ হচ্ছে, লোকজন দেখতেও আসছেন...


এসেছেন সুদূর মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে। বিশেষ পদ্ধতিতে মৌমাছি পালন করেন তাঁরা। সেই মৌমাছিকে দিয়েই মধু সংগ্রহ করেন ওঁরা। ১৫-২০ দিন আগেই সরষে ফুল পুরোপুরি ফুটে উঠেছে। তপনকুমারগঞ্জ ও গঙ্গারামপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সরষে চাষ হয়েছে। এই সর্ষে ফুল থেকেই মধু সংগ্রহ করেন মধুচাষিরা।


৩০০টি বাক্স নিয়ে হরিহরপাড়া থেকে এবার এসেছেন পাঁচজন মধুচাষি। শীতের মরশুম শুরু হতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়ান মধুচাষিরা। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম ও মালদার কিছু অংশে সরষে চাষ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে মধু সংগ্রহকারীরা ভিড় জমিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরে। দিনসাতেকের মধ্যে তাঁরা এখান থেকে চলে যাবেন অন্য কোনও জেলায়। কিন্তু এবার মধু সংগ্রের হার বেশ কম। অন্যবার যেখানে প্রতিদিন গড়ে চার থেকে পাঁচ লিটার মধু সংগ্রহ হয় এবার সেখানে মধু সংগ্রহের পরিমাণ  অর্ধেকেরও কম হয়ে দাঁড়িয়েছে! ফলে মধু সংগ্রহকারীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। খুচরো বাজারে আড়াইশো টাকা কেজি মধু বিক্রি হলেও মহাজনের কাছে অনেক কম দামেই বিক্রি করতে হয় তাঁদের। দীর্ঘদিন ধরে এই পদ্ধতিতেই ব্যবসা হয়ে আসছে। ফলে প্রতিবারই লাভ ক্ষতির দোলাচলে থেকে মধু সংগ্রহ করেন চাষিরা। 


যেবার মধু উৎপাদন বেশি সেবার মধুর দাম কমে যায়। যেবার উৎপাদন কম সেবার দাম বেড়ে যায়। এবার রাজ্য জুড়েই শীতের দাপট ছিল বেশি। ফলে মধুসংগ্রহতে বাধা পড়েছে। কৃষকরা মধু সংগ্রহ করে তাঁদের মহাজনদের কাছে তা নিয়মিত পাঠিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কত টাকা দাম হবে তা জানেন না তাঁরা।


আরও পড়ুন: Padma Awardee Dr Eklavya Sharma: বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র নিয়ে ৪০ বছরের একাগ্র কাজই নিয়ে এল পদ্মসম্মান...


মুর্শিদাবাদের এই মধু সংগ্রহকারীরা প্রতিবছর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়ে মধু সংগ্রহ করেন। বাজারে এই মধুর চাহিদা প্রচুর। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন খাঁটি মধু কিনতে। প্রতি লিটার আড়াইশো টাকা করে দামও দেন কিন্তু যে পরিমাণ মধু সংগ্রহ হয় তার বিক্রির সুব্যবস্থা নেই। মহাজনদের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হন মধুসংগ্রহকারীরা। চাষিদের বক্তব্য, সরকারি ভাবে মধু কিনে নেওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই রাজ্যের কোথাও। ফলে, বেসরকারি মহাজনদের কাছেই মধু বিক্রি করতে বাধ্য হন তাঁরা। প্রচুর প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে তাঁরা মধু সংগ্রহ করেন কিন্তু তাঁদের পরিশ্রমকে এখনও পর্যন্ত মান্যতা দেয়নি কেউ, আক্ষেপ মধু সংগ্রহকারীদের।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)