নিজস্ব প্রতিবেদন: আচমকাই মন্দিরের সাবমার্সিবল পাম্প থেকে বের হচ্ছে প্রায় ফুটন্ত জল। এতটাই গরম যে হাতে ফোস্কা পড়ে যাচ্ছে। বাঁকুড়া পাত্রসায়রে কাকাটিয়া গ্রামের ওই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-অপমানিত! তাঁর আসার আগেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন, রেগে পতাকা ব্যাগে ভরে বাড়ি নিয়ে গেলেন বিজেপি নেত্রী


বছর দুয়েক আগে বছর দুই আগে শ্মশান যাত্রীদের সুবিধার জন্য ও স্থানীয় কালী মন্দিরে পুজো পাঠের জন্য মন্দিরের অদূরে বসানো হয়েছিল মিনি সাবমার্সিবল পাম্প। বছর দেড় ধরে স্বাভাবিক ভাবেই চলছিল সেই পাম্প। হঠাৎ মাস ছয় আগে সেই সাবমার্সিবল পাম্প থেকে বেরোতে শুরু করেছে তপ্ত জল।  জল এতটাই গরম যে তাতে হাত দিলে হাতে পড়ছে ফোস্কা।


বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের কাকাটিয়া গ্রামের আজব এই কান্ডে রীতিমত হতবাক স্থানীয়রা।  বিভিন্ন সম্ভাবনার কথা বললেও সুনির্দিষ্ট কি কারনে এমনটা ঘটছে তা বলতে পারছেন না বিশেষজ্ঞ মহলও।


বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লক মোটামুটি ভাবে গাঙ্গেয় সমভূমিরই অংশ বিশেষ। স্বাভাবিক ভাবেই জেলার অন্যতম কৃষি প্রধান অঞ্চল এই ব্লক। কৃষির সেচের প্রয়োজনে এই এলাকায় রয়েছে অসংখ্য সাবমার্সিবল ও ডিপ টিউবওয়েল। গৃহস্থালির প্রয়োজনেও এই এলাকায় অনেকেই সাবমার্সিবল তৈরী করান। বছর দুয়েক আগে কাকাটিয়া গ্রামের অদূরে থাকা শ্মশান ও শ্মশানকালী মন্দিরে জলের প্রয়োজন মেটাতে এমনই এক সাবমার্সিবল খনন করা হয়।


আরও পড়ুন-থুতনিতে মাস্ক; সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই, বাগবাজারে জমিয়ে ভারতমাতার পুজো বিজেপির  


গ্রামবাসীদের দাবি প্রায় একশো কুড়ি ফুট খনন করতেই জলের ভালো স্তর পাওয়ায় আর খনন করার প্রয়োজন হয়নি। বছর দেড়েক ধরে সাবমার্সিবলের সেই সাধারণ জলই ব্যবহার করে আসছিলেন মন্দিরের পুরোহিত থেকে শুরু করে স্থানীয় শ্মশান যাত্রীরা।


বিপত্তি ঘটে মাস ছয় আগে।  হঠাৎই ওই সাবমার্সিবলের মুখ থেকে বের হতে শুরু করে গরম জল। প্রথমে গ্রামবাসীরা বিষয়টিতে তেমন গুরুত্ব না দিলেও  দিন যত যায় সাবমার্সিবলের মাধ্যমে উঠে আসা জলের উষ্ণতা ততই বাড়তে থাকায় এলাকার মানুষ অবাক হতে শুরু করেন। গ্রামবাসীদের অনেকে এই ঘটনাকে অলৌকিক ঘটনা বলে মানতে নারাজ।  তাঁদের দাবি এর প্রকৃত বৈজ্ঞানিক কারন খুজে বের করার জন্য উদ্যোগী হোক সংশ্লিষ্ট দফতর।