নিজস্ব প্রতিবেদন: বিয়ের মাসখানেক পরে গণধর্ষণের শিকার হলেন তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত দিলীপ সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আর এক অভিযুক্ত পলাতক। বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ওই তরুণী।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বসিরহাটের সাইপালার বাসিন্দা ওই তরুণী দ্বিতীয় বর্ষের স্নাতকের ছাত্রী। মাসখানেক আগে মাধ্যমিক পড়ুয়া এক যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের অমতে তাঁরা বিয়ে করেন। কিন্তু ঘরে ঠাঁই না হওয়ায় বসিরহাট স্টেশনের কাছে একটি বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে ওই দম্পতি। সংসার চালানোর খরচ জোগাড় করতে দিলীপ সরকারের কাছে মজুরির কাজ জোটান ওই যুবক। অভাবী দম্পতির বাড়িতে রোজই যাতায়াত ছিল দিলীপের।


বুধবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ দিলীপ সরকার, তাঁর ভাগ্নে সমীর গাইন ওরফে গফু ও সুনীল গাইনকে সঙ্গে নিয়ে ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে মদ্যপান করেন তাঁরা। রাত ১২টা নাগাদ সুনীল চলে যান। মদ্যপান করে তখন নেশায় বুঁদ ওই তরুণীর স্বামী। সেই সুযোগে খুনের হুমকি দিয়ে দিলীপ ও সমীর তরুণীর মুখ চেপে পাশবিক অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ। 


ওই তরুণী জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে বিয়ে মেনে না নেওয়ায় বসিরহাট স্টেশানের কাছে একটি ঘর ভাড়া করে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। দিলীপকে মামা বলে ডাকতেন। নির্যাতিতার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ দিলীপ সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আর এক অভিযুক্তের খোঁজে চলছে পুলিস।


আরও পড়ুন- বধূ নির্যাতনের মামলায় চাপে শামি, নিম্ন আদালতের রায়ে ক্ষোভপ্রকাশ হাইকোর্টের