নিজস্ব প্রতিবেদন: দাবিমতো পণ না মেলায় গৃহবধূকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানা এলাকার পটনা গ্রামের। অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবি রাতভর পুলিসের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। স্থানীয়দের চাপের মুখে অভিযুক্ত স্বামী ও তাঁর মা-কে গ্রেফতার করেছে পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত বছর পটনা গ্রামের পরশুরাম মাইতির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সবিতার। নিহতের বাপের বাড়ির অভিযোগ, পণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই অত্যাচার চলছিল সবিতার ওপর। দিন দিন চাহিদা বাড়ছিল সিভিক ভলান্টিয়ার জামাইয়ের। সম্প্রতি একটি মোটরবাইকের দাবি জানায় সে। বুধবার সেই মোটরসাইকেল কেনা নিয়ে ফোনে সবিতার বাপের বাড়ির সঙ্গে কথা হয় পরশুরামের। এর পরই সবিতার বাপের বাড়িতে পৌঁছয় তাঁর মৃত্যু সংবাদ। সঙ্গে সঙ্গে সবিতার শ্বশুরবাড়িতে ছুটে যান তাঁর বাবা ও পরিজনরা। সেখানে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা। 


ঘটনার খবর জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। গভীর রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খেজুরি থানার পুলিস। পুলিসের গাড়ি পাংচার করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। অভিযুক্ত পরশুরাম ও তাঁর মাকে গ্রেফতারির দাবি ওঠে। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভের পর ভোররাতের দিকে পরশুরাম ও তাঁর মা-কে গ্রেফতার করে দেহ উদ্ধার করে পুলিস। 


পারিবারিক বিবাদের ভয়াবহ পরিণতি, স্ত্রীকে কুড়ুল দিয়ে আঘাত করে খুন করল স্বামী


নিহত গৃহবধূর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়নাতদন্ত হবে। তার পরই মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত হবে পুলিস।