নিজস্ব প্রতিবেদন:  মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন এসেছিল। কিন্তু ফোন ধরেও অপর প্রান্ত থেকে কথা বলেননি কেউ। বিপদ হয়তো জানান দিয়েছিল তখনই। তাই সরাসরি মেয়ের শ্বশুরবাড়িতেই চলে গিয়েছিলেন বাবা-মা।   দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থেকে বাঁকুড়া-দূরত্বটা নেহাতই কম নয়। এতটা পথ উজিয়ে যখন মেয়ের শ্বশুরবাড়ি তাঁরা পৌঁছেছিলেন, তখন এক নিমেশের মধ্যেই গোটা পৃথিবীটা অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল তাঁদের সামনে।  মেয়ের ঘরের দরজা খুলে দেন শ্বশুরবাড়ির লোকই। দেখেন খাটের ওপর পড়ে রয়েছে মেয়ের নিথর দেহটা।  দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান তাঁরা। স্তম্ভিত, চমকে ওঠার ‘অভিনয়’ টা করেছিলেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাও। বাড়ির বউ আত্মহত্যা করেছে... বলে কান্নাকাটিও করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বাঁকুড়ার এক গৃহবধূ  রিমি আঠার রহস্যমৃত্যুতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  পাত্রী দেখতে গিয়ে তাঁর বাড়িতে বারাকপুরের পাত্র যা ঘটালেন, তা এই রাজ্যে কেন দেশে কোথাও আগে ঘটেনি!


সোনারপুরের রেনিয়ার রিমির সঙ্গে বছর দশেক আগে বিয়ে হয় বাঁকুড়ার কমলামাঠের বাসিন্দা পিন্টু আঠার। পিন্টু একটি দোকানে কাজ করেন।  নিজের প্রায় সবটুকু সঞ্জয় দিয়েই মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন রিমির বাবা। প্রথম কয়েকটা বছর ভালোই কেটেছিল। কিন্তু একদিন হঠাত্ রিমির ফোন আসে বাড়িতে। তিনি জানান, বাড়ি থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাইছেন স্বামী। বাবাকে সেকথা জানিয়েছিলেন রিমি। তবে এও জানিয়েছিলেন, ‘বাবা তুমি চিন্তা করো না, আমি বুঝিয়ে বলব ওকে, সব ঠিক হয়ে যাবে।’


আরও পড়ুন: বরের কাছ থেকে এনে মেয়ের সঙ্গে চরম ঘৃণ্য কাজ করল বাবা-দাদা, ধরিয়ে দিল কয়েকটি সংখ্যা!


কিন্তু কিছুই যে ঠিক হওয়ার ছিল না তা বুঝতে দেরি হয়নি রিমির পরিবারের। এরইমধ্যে রিমি ও পিন্টুর এক সন্তান হয়।  সন্তান হওয়ার পরই রিমির যৌথ পরিবারে অশান্তি আরও বাড়তে থাকে। শুধু স্বামীই নয়, এবার শাশুড়ি ও দেওরও অত্যাচার শুরু করে তাঁর ওপর। এরপর রিমির বাপের বাড়ির উদ্যোগেই স্বামী, সন্তানকে নিয়ে আলাদা সংসার পাতেন রিমি। কিন্তু অশান্তি থামেনি।  বরং তা বেড়ে চলছিল। ইদানীং মদ খেয়ে বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীর ওপর অত্যাচার শুরু করেছিল পিন্টু।


দুদিন আগে রিমির বাড়িতে ফোন আসে। পরিবারের দাবি, ফোনে কেউ কোনও কথা বলেনি। তারপরই তাঁরা বাঁকুড়া যান।  রিমির নিথর দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। শ্বশুরবাড়ির লোক দাবি করেন, আত্মহত্যা করেছেন রিমি। কিন্তু মেয়ের শরীরের একাধিক জায়গায় সিগারেটের ছ্যাঁকা ও কালসিটে দাগ দেখতে পান রিমির বাবা-মা। হাত সহ শীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় কাটাও ছিল।  প্রথমে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান রিমির বাবা। কিন্তু বাঁকুড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে, সেখানেই অভিযোগ দায়ের করতে হয়।  পরিবারের অভিযোগ, পণের দাবিতেই খুন করা হয়েছে রিমিকে। যদিও এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হননি।