নিজস্ব প্রতিবেদন : সন্দেহের বশে গৃহবধূকে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মার। মারের হাত থেকে বাদ পড়েননি ওই গৃহবধূর বৃদ্ধ শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও স্বামীও। শেষে লজ্জায়, অপমানে ও বদনাম দেওয়ায় আত্মঘাতী হলেন ওই গৃহবধূ। মৃতার নাম নয়ন মাঝি। বয়স ২৫ বছর। ঘটনাটি মঙ্গলকোটের নারায়ণপুরের। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে মঙ্গলকোট থানার পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গেছে, ওই গ্রামের এক যুবক সপ্তম মাঝি হুগলির হরিপালে কর্মরত। তাঁর সঙ্গে গ্রামের গৃহবধূ নয়ন মাঝির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। গত মাসের ৩০ তারিখে সপ্তম মাঝি কর্মস্থলে আত্মহত্যা করেন। এরপরই সেই দিন ভোরে যুবকের বাড়ির লোকজন চড়াও হয় গৃহবধূর বাড়িতে। ঘুমন্ত অবস্থায় গৃহবধূ ও তাঁর পরিবারের লোকেদের তুলে আনে। গৃহবধূকে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে চলে রড, লাঠি দিয়ে মার ও কিল, ঘুষি। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে এই মারধর পর্ব।


খবর পেয়েই পুলিস গ্রামে এসে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সুস্থ হয়ে উঠে ওই গৃহবধূ বীরভূমের বোলপুরে ভাড়াবাড়িতে চলে যান। এরপর বৃহস্পতিবার ওই বাড়িতেই অপমানে আত্মঘাতী হন ওই গৃহবধূ। যদিও যুবকের পরিবারের তরফে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।