নিজস্ব প্রতিবেদন: পণের দাবিতে  গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি  ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার কালিতলা ফাঁড়িতে।  মৃতার স্বামীকে আটক করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 বছর আটেক আগের কথা। মহেশতলার আশুতি ১ খানবেরিয়ার বাসিন্দা রবীন ঘুঘুর সঙ্গে বিয়ে হয় সুলেখা ঘুঘুর। রবীন পেশায় দর্জি। সুলেখার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে  অত্যাচার করত রবীন।  মাঝেমধ্যেই বাপেরবাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য সুলেখাকে চাপ দিত রবীন। ইদানীং অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল।  বাড়িতে সেকথা জানিয়েছিল সুলেখা।


আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়েছিল মেয়ে... উদ্ধার খুবলে খাওয়া দেহ


সুলেখার পরিবার রবীনকে বেশ কয়েকবার এই নিয়ে বুঝিয়েছিল। কিন্তু তাতে যে কিছু লাভ হয়নি, তার ফল মিলল সোমবার বিকালেই। মৃতার পরিবার জানিয়েছে, সোমবার বিকাল তিনটে নাগাদ  সুলেখা অসুস্থ বলে রবীনের বাড়ি থেকে খবর যায় তাদের কাছে। খবর পেয়েই মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান সুলেখার  বাবা-মা।


আরও পড়ুন: পুজোর আগেই সুখবর: ১০০ টাকার পেট্রোল কিনলে ফেরত পাবেন ৪০ টাকা ৭৫ পয়সা!


মৃতার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, রবীনের বাড়িতে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান শোওয়ার ঘরে সিলিং ফ্যানে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে সুলেখা।  হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।  পরিবারের তরফে মহেশতলা থানার কালিতলা ফাঁড়িতে রবীন ও তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।  পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রবীনকে আটক করেছে পুলিস। এটি খুন না আত্মহত্যা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।