নিজস্ব প্রতিবেদন : গৃহবধূর রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরে। মৃতের নাম রীতা চক্রবর্তী। বয়স ২৫ বছর। রীতার বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই খুন করেছে রীতাকে। যদিও মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির গাববেড়িয়ার বাসিন্দা রীতা চক্রবর্তীর সঙ্গে ৬ মাস আগে বিয়ে হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের বিদ্যাধর গ্রামের বাসিন্দা সুমন চক্রবর্তীর। সুমনের সঙ্গে বিয়ের আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল রীতার। দুচোখে সুখে সংসার করার অনেক স্বপ্ন নিয়েই সুমনকে বিয়ে করেছিলেন রীতা। কিন্তু ছন্দপতন হল মাত্র ৬ মাসেই।


আরও পড়ুন, কূটনৈতিক বৈঠকে বসেও ভূরিভোজ সারতেন বাজপেয়ী


রীতার বাপের বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, সুমনের বাড়ি থেকে তাঁদের ফোন করে বলা হয় আপনাদের মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। খবর পেয়েই ছুটে আসেন তাঁরা। কিন্তু মেয়ের শ্বশুরবাড়ি এসে আর মেয়েকে দেখতে পাননি। ছুটে যান বারুইপুর হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে গিয়েও মেয়ের কোনও খোঁজ পাননি তাঁরা। এরপরই তাঁরা জানতে পারেন, রীতাকে দাহ করার জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন, বোলেরোর ভিতর তল্লাশি চালাতেই চক্ষু চড়কগাছ, উদ্ধার ৬০ লাখি লেপার্ড গোকো


একথা জানতে পেরেই তাঁরা বারুইপুর থানায় খবর দেন। এরপরই পুলিস শ্মশানে গিয়ে রীতার দেহ নিয়ে আসে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রীতার আত্মীয়-স্বজনদের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই খুন করেছে তাঁদের মেয়েকে। আর তাই তাঁদের মিথ্যে কথা বলে, লুকিয়ে দেহ দাহ করতে নিয়ে গিয়েছিল। সাংসারিক অশান্তির জেরেই মারধর করে রীতাকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।