নিজস্ব প্রতিবেদন : বিয়ের দশ মাসের মাথায় এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ি লোকদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের হাট কালিয়াগঞ্জ এলাকায়। মৃতার নাম শীতলা পাল। বয়স ২২ বছর। মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে কালিয়াগঞ্জ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হাট কালিয়াগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা গৌরাঙ্গ পালের সঙ্গে ইটাহারের শীতলা পালের ১০ মাস আগে বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের ২-৩ মাস পর থেকেই শুরু হয় অত্যাচার। শীতলার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ি লোকেরা। প্রায়ই শীতলাকে বাপের বাড়ির থেকে টাকা আনতে বলা হত। টাকা না আনলে তাঁকে মারধর করত স্বামী সহ অন্যরা।


রবিবারও শীতলাকে বাপের বাড়ির থেকে টাকা আনতে বলা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, শীতলা টাকা না আনতে রাজি না হওয়াতেই তাঁকে মারধরের পর গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। খুনের পর শীতলার বাপের লোকদের তারাই খবর দেয়। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে বাপের বাড়ির লোকেরা। হাসপাতালে শীতলার বাবা রঞ্জিত পালই মেয়ের গলায় ফাঁসের দাগ দেখতে পান।


আরও পড়ুন, বাড়ির সেলাই কারখানাই ডেকে আনল বিপদ, যুবতীকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দিল স্বামী


এই ঘটনায় স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ি লোকেদের বিরুদ্ধে কালিয়াগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রঞ্জিতবাবু। অভিযোগের ভিত্তিতেই গৌরাঙ্গ পাল, দিলীপ পাল, বাবলি পাল ও নিতাই পালকে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিস গ্রেপ্তার করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিস। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।