নিজস্ব প্রতিবেদন:    স্বামীর  মৃত্যু হয়েছে দশ বছর আগে। দিনমজুরির আয়ে তিন সন্তানকে নিয়ে একাই সংসার টানতেন লীলা ভুঁইঞা।  কাজের সূত্রেই কোনওভাবে পরিচয় হয়েছিল এক যুবকের। সম্পর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে। বন্ধুত্ব গড়ায় ভালোবাসায়। তাঁর সঙ্গে সংসার বাঁধারও স্বপ্ন দেখেন লীলা। কিন্তু সেই স্বপ্নই পরিণত হল দুঃস্বপ্নে। প্রেমিকের হাতেই খুন হতে হল তাঁকে। আসানসোলের কুলটিতে এক গৃহবধূর রহস্যমৃত্যুতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কুলটির রাধানগরের বাসিন্দা লীলা ভুঁইঞা। দশ বছর আগে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়। রাধানগরের হাটিয়ায় এলাকায়  ছেলে-মেয়েকে নিয়ে একটি এক কামরার ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন লীলা।  কয়েক বছর আগে পেশায় ইসিএল কর্মী হপন মাঝির সঙ্গে  পরিচয় হয় তাঁর। এরপর  তাঁর সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।  


আরও পড়ুন: সপ্তমী, অষ্টমী না নবমী? কবে কোথায় ভারী বৃষ্টি হবে, স্পষ্ট করল আবহাওয়া দফতর


প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, হপনের সঙ্গে লীলার সম্পর্ক ভালোই ছিল। লীলার তিন  সন্তানও হপনকে মেনে নিয়েছিল।  লীলা সন্তানদের ভরণপোষণের দায়িত্বও নিয়েছিলেন হপন।  মাঝেমধ্যেই লীলার বাড়িতে রাত কাটাতেন হপন। তাঁরা মাঝেমধ্যে ঘুরতেও যেতেন।  বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে খবর।


মৃতার সন্তানরা জানাচ্ছে,   রবিবার রাতে হপন লীলাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাধানগর পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকার একটি বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে ওঠেন তাঁরা। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেন লীলা। পরেরদিনও বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করে লীলার ছেলেমেয়ে।


আরও পড়ুন: পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করল বন্ধু, 'ক্ষির' খেল যুবক


খোঁজ নিয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে  তারা দেখতে পায়, বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন লীলা। পরে  স্থানীয়রা কুলটির নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে খবর দেন। পুলিস গিয়ে লীলাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।  ঘটনায় হপন মাঝিকে  আটক করেছে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে।  কীভাবে খুন করা হয়েছে,  তা এখনও স্পষ্ট নয়।