ওয়েব ডেস্ক: হঠাত্‍ই উড়ো ফোন। আধার কার্ড লিঙ্ক আপের জন্য ব্যাঙ্ক ম্যানেজার জিজ্ঞেস করছেন আপনার ডেবিট কার্ডের পিন নম্বর। সরল বিশ্বাসে পিন নম্বর বললেই বিপদ। নিমেষে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করে দেবে ATM হ্যাকাররা। এভাবেই লোক ঠকানোর কারবার ফেঁদেছিল দুর্গাপুরের এক প্রতারণা চক্র। পুলিসের জালে ধরা পড়েছে ৯ দুষ্কৃতীই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নমস্কার। স্টেট ব্যাঙ্ক থেকে বলছি, আপনার আধার কার্ডের নম্বর আর ডেবিট কার্ডের পিন নম্বরটি বলুন। দুটোকে লিঙ্ক করাতে হবে। না হলে আপনার কার্ড বাতিল হয়ে যাবে।


ফোন কলের এই ফাঁদে পা দিলেই বিপদ। নম্বর বলার কিছুক্ষণ পরেই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ব্যাঙ্কে জমানো টাকা। এই কায়দাতেই  এটিএম কার্ড হ্যাকিংয়ের রীতিমতো ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল ৯ এটিএম হ্যাকার। তদন্তে নেমে গোটা দলটাকেই হাতেনাতে পাকড়াও করেছে আসানসোল দক্ষিণ ও হীরাপুর থানার পুলিস।


কীভাবে প্রতারণা? ভুয়ো কল সেন্টার ফেঁদে চলত কর্মী নিয়োগের কাজ। তাদেরকে দিয়েই করানো হত এই কাজ। এইভাবেই গতকয়েকমাসে কয়েক কোটি টাকা গায়েবের অভিযোগ উঠেছে প্রতারণাচক্রটির বিরুদ্ধে।


কী ভাবে গ্রেফতার?


গোপনসূত্রে খবর পেয়ে পুলিস ও সিআইডি যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে আসানসোলের ইসমাইল কোরাপাড়া থেকে ৯ এটিএম হ্যাকারকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশকয়েকটি ল্যাপটপ,মোবাইল,মোবাইলের সিম।


জেরায় পুলিস জানতে পেরেছে ধৃতেরা ঝাড়খণ্ডের দেওঘর, বিহার ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডালের বাসিন্দা। প্রায় মাস তিনেক ধরেই এই লোক ঠকানোর কারবার চালাচ্ছিল প্রতারণচক্রটি। ধৃতদের জেরা করে কামদেও নামে আরও ব্যক্তির কথা জানা গেছে। ঝাড়খণ্ডের কারমাচারের ওই বাসিন্দার খোঁজে তল্লাসি শুরু করেছে পুলিস।