নিজস্ব প্রতিবেদন:  গতকাল ঠিক কী হয়েছিল নন্দীগ্রামে? ঘটনার সময়ের ফুটেজ এসে পৌঁছেছে জি ২৪ ঘণ্টার হাতে। দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সাধারণ মানুষরা ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আর তার মধ্যে দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



গাড়ি থেকে নামার সময়ে পায়ে চোট লেগেছে তাঁর। ঘটনাকে ঘিরে বুধবার রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজার। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেও সেই রেশ ছিল। এ দিন সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ডিএম এসপি। তাঁদের সামনেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল-বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এ সবের মধ্যে বিরুলিয়া বাজার এলাকারই বাসিন্দা এক প্রত্যক্ষদর্শীর বিস্ফোরক বয়ান সামনে আসে। 


কীভাবে চোট লাগল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)? তৃণমূল নেত্রী দাবি করেছেন, ৪-৫ জন দরজার কাছে ধাক্কা দিয়েছিল। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য ভিন্ন। সংবাদ সংস্থা ANI -কে দু'জন প্রত্যক্ষদর্শীই জানিয়েছেন, কেউ ধাক্কা বা ঠেলাঠেলি করেনি।         


প্রত্যক্ষদর্শী চিত্তররঞ্জন দাস বলেন, 'এখানেই দাঁড়িয়েছিলাম। উনি হাতজোড় করে আসলেন। দরজা খুলে ছিলেন। গেটের সামনে বসেছিলেন। পোস্টের সামনে দরজা লাগে। সেটাই তাঁর পায়ে লেগেছে। কেউ ঠেলেওনি, মারেওনি। তারপর বেরিয়ে গেলেন। দরজার কাছে কেউ ছিল না।'


সংবাদ সংস্থা ANI -কে আর এক প্রত্যক্ষদর্শী সৌমেন মাইতি বলেন,'মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে ভিড় জড়ো হয়েছিল। কেউ ধাক্কা দেয়নি। গাড়ি ধীর গতিতে চলছিল। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। আমি ছাত্র।'  


আজ আরও এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী, সবজি বাজারের পাশে একটি কর্মিসভায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল মমতার। ওই এলাকায় আগে থেকেই ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ির সামনের দরজাটা খোলা ছিল। মমতা হাত নাড়িয়ে জনসংযোগের চেষ্টা করছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী জানাচ্ছেন, কেউই ধাক্কা মারেননি। 


মমতার গাড়ি ঠিক লোহার পিলার দুটোর মাঝে এসে দাঁড়ায়। গাড়ির দরজা পুরোপুরি খুলে নামার চেষ্টা করেন মমতা। সেক্ষেত্রে কোনওভাবে গাড়ির দরজা লোহার পিলারেই ধাক্কা খেয়ে বন্ধ হয়ে যায়। তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের পাতায় সজোরে ধাক্কা লাগে। তখনই মাটিতে পড়ে যান মমতা।