Bagnan SI death: মাত্র ১ বছর আগে বাগনানে পোস্টিং, `ভালো মানুষ` SI সুজয়ের নেশা ছিল ক্রিকেট!
২০০৩ সালে রাজ্য পুলিসে চাকরি পান সুজয় দাস। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী, ১২ বছরের মেয়ে, ৩ বছরের ছেলে ও দাদার পরিবার।
দেবব্রত ঘোষ: মাত্র বছরখানেক আগেই বদলি হয়ে এসেছিলেন বাগনানে। আর সেটাই যেন কাল হল! ডেকে আনল মর্মান্তিক পরিণতি! বাগনান বরুন্দোয় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর টহল দিচ্ছিলেন বাগনান থানার এসআই সুজয় দাস। বাগনান থানার টহলরত সেই পুলিসের গাড়িতে ধাক্কা মারে লরি। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এসআই সুজয় দাস ও এক হোমগার্ড।
বাগনান থানার এস আই সুজয় দাস আদতে বেলুড়ের বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় সুজয় দাসের মৃত্যুতে শোকের ছায়া বেলুড়ে। এদিন সকাল ৬টা নাগাদ দুঃসংবাদ এসে পৌঁছয় বেলুড়ের বাড়িতে। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজন বাগনানের উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। সুজয় দাসের পরিবারে স্ত্রী ও ২ সন্তান রয়েছে। ১২ বছরের মেয়ে ও ৩ বছরের ছেলে। দাদার পরিবারও তাঁদের সঙ্গেই থাকেন।
স্বামীর আকস্মিক মৃত্যুতে বাক্যহারা সুজয় দাসের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যরা। পরিবারের লোকেরা জানালেন, ২০০৩ সালে রাজ্য পুলিসে চাকরি পেয়ে দীর্ঘদিন কনস্টেবল পদে বহাল ছিলেন সুজয় দাস। পরবর্তীতে সোনারপুর থানায় পোস্টিং ছিলেন। বছর খানেক আগে বাগনান থানায় পোস্টিং পান তিনি। বাগনান থানায় এসআই পদে বহাল ছিলেন। এলাকায় ভালো মানুষ বলে পরিচিত ছিলেন সুজয় দাস। পেশার বাইরেও তিনি ক্রিকেট খেলতেন।
এদিন বাগনানের বরুন্দোয় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বাগনান থানার টহলরত পুলিসের গাড়িতে লরি ধাক্কা মারার পর দুর্ঘটনার অভিঘাতে পুলিসের গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এই দুর্ঘটনায় এসআই সুজয় দাস ও এক হোমগার্ডের মৃত্যু হওয়া ছাড়াও, গুরুতর আহত হয়েছেন চালক সহ আরও ২ পুলিসকর্মী। তাঁদের প্রথমে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, Asansol: 'জেনারেল ফিজিশিয়ান' হয়েই গাইনো চিকিত্সা! প্রসবের পরই রক্তক্ষরণে মৃত্যু প্রসূতির
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)