দেবব্রত ঘোষ: হাওড়া ব্রিজে বাসের ধাক্কা। ২ পথচারীর মৃত্যু। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে বাস। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২ পথচারীর। জখম হয়েছেন একজন। জখম ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘাতক বাসটি আটক করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, বাসটি কলকাতার দিক থেকে হাওড়ায় আসছিল। ২৮ নম্বর রুটের বাস। হাওড়া ব্রিজের প্রথম পিলারের কাছে যাত্রীবোঝাই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে ২ পথচারীকে। গুরুতর জখম হন ২ পথচারী। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাওড়া ব্রিজ থেকে হাওড়ার দিকে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে হাওড়া- শিয়ালদহ ২৮ নম্বর রুটের বাসটি। কী কারণে এই দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, রেষারেষি করতে গিয়েই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। প্রসঙ্গত, এর আগেও হাওড়া ব্রিজে বহুবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে একবার হাওড়া ব্রিজে দুর্ঘটনা ঘটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিংয়ে ধাক্কা মারে যাত্রীবোঝাই বাস। তাতে বহুজন আহত হন। অভিযোগ, বাসে বাসে রেষারেষির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছিল। স্টিয়ারিং আটকে যাওয়ায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। বাসের অর্ধেক অংশ ফুটপাথে উঠে যায়। ওদিকে, চলতি বছরই জুন মাসেও হাওড়া ব্রিজে দুটি বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন ১০ জন। দুর্ঘটনার জেরে দুমড়ে মুচড়ে যায় একটি বাসের অংশ! আরেকটি বাসও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হাওড়ামুখী ২৪বি ও ধর্মতলাগামী ৫৯ নম্বর রুটের বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এক্ষেত্রেও বাসযাত্রীদের দাবি, খুব জোরে চালাচ্ছিলেন চালক। প্রচণ্ড গতির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে।


অন্যদিকে এদিন হাওড়া ব্রিজে বাসের ধাক্কায় ২ পথচারীর মৃত্যুর ঘটনার পাশাপাশি, বসিরহাট মাটিয়া থানার রাহার হাটির মোড়ে টাকি রোডেও মর্মান্তিক একটি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন। ইঞ্জিন ভ্যানের সঙ্গে ম্যাক্স গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত তিন, আহত পাঁচ। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থাও রীতিমত সঙ্কটজনক। বসিরহাটের গোবিন্দপুর এলাকা থেকে হাড়োয়ায় কাজের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন ৮ শ্রমিক।  একটি ইঞ্জিন ভ্যানে করে যাওয়ার সময়, রাহার হাটির মোড়ের কাছে টাকি রোডের উপর উলটো দিক থেকে আসা একটি সবজি বোঝাই ম্যাক্স গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ম্যাক্সের ধাক্কায় ইঞ্জিন ভ্যান থেকে ছিটকে পড়েন ৮ শ্রমিক। রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে গুরুতর জখম ৮ জনকে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তিন জনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজন বসিরহাট জেলা হাসপাতাল ও বাকি ৪ জন কলকাতায় আরজিকর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।