দেবব্রত ঘোষ: শনিবার রাতে হাওড়ার সালকিয়ায় নিজের ঘরে নৃশংসভাবে 'খুন' হলেন হাওড়া পুরসভার এক অস্থায়ী কর্মী।  নাম শশাঙ্ক চট্টোপাধ্যায় (৫০) ওরফে মধু। পুলিস সূত্রে খবর গতকাল রাত ১০টা নাগাদ বাড়ির লোক তাকে নিজের ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। দেহের চারপাশে চাপ চাপ রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়াও মদের ভাঙ্গা বোতল এবং কাচের গ্লাস পাওয়া যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-অধীরগড়ে ভাঙন, রানিনগরে স্থায়ী সমিতি গঠনের আগে ম্যাজিক ফিগারে তৃণমূল


আত্মীয়দের দাবি, গতকাল দুপুর বারোটা নাগাদ শশাঙ্ক তার এক পরিচিত বন্ধুকে নিজের বাড়িতে ডাকেন। সেই বন্ধু বাড়িতে এলে দুজনে মিলে দুপুরের খাওয়া-দাওয়ার পর মদ্যপান শুরু করেন। সন্ধেবেলা পর্যন্ত দুজনকে একসাথে ঘরে বসে মদ্যপান করতে দেখা যায়। রাত দশটা নাগাদ তার দাদা দোকান বন্ধ করে যখন বাড়ি ফেরেন তখন ঘরের দরজা খুলে উঁকি মারলে তিনি দেখেন শশাঙ্কের দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মেঝেতে। এরপর মালিপাঁচঘড়া থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিস। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।


বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন শশাঙ্কের গলায় এবং দেহের অন্যান্য অংশে গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান ভাঙা কাঁচের বোতল দিয়ে তাকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। দেহ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্যই ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় তার। মালিপাঁচঘরা থানার পুলিসের পাশাপাশি হাওড়া সিটি পুলিসের গোয়েন্দারাও এই খুনের তদন্তে নেমেছে।


পুলিশ সূত্রে খবর ঘটনাস্থলে কোন অস্ত্র পাওয়া না গেলেও ভাঙা কাঁচের বোতল এবং গ্লাস পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে বিভিন্ন রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ফরেনসিক টিমকেও ডাকা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান খুনি শশাঙ্কের খুব পরিচিত। সেই জন্যই তাকে নিমন্ত্রণ করে বাড়িতে ডাকেন। তবে হঠাৎ রাগের মাথায় খুনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস।  কী কারণে খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।


নিহতের সম্পর্কে এক দাদা বলেন, ওর কোনও বন্ধু এসেছিল ঘরে। দুজনে খাওয়াদাওয়াও করেছে। সাড়ে চারটে পাঁচটা নাগাদ ওর ভাই ওর ঘরের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। সেইসময় ওদের মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে বিবাদ হচ্ছিল। ওর ভাই ওসব দেখে চলে যায়। রাতে যখন ও দোকান বন্ধ করে ফেরে তখন দেখে ঘরে লাইট ফ্য়ান চলছে। আর ওর দেহ পড়ে রয়েছে। ওসব দেখে ও থানায় ফোন করে। আমার অনুমান সন্ধে সাতটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। গল কাটা অবস্থায় দেহ পড়েছিল। কাচের বোতল পাওয়া গিয়েছে। কোনও অস্ত্র পাওয়া যায়নি। কারও সঙ্গে ওর শত্রুতা ছিল বলে জানি না। পুরসভায় সাফাই কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। মায়ের সঙ্গে থাকত। বিয়ে করেনি। কাল যে লোকটা এসেছিল সে আগে কখনও এখানে আসেনি।


অন্য এক প্রতিবেশী বলেন, শুনলাম কাল ও একজনের সঙ্গে ড্রিঙ্ক করছিল। সেইসময় ঝগড়াঝাঁটি হয়। তার পর এরকম একটা কিছু হয়েছে। ওর দাদা যখন দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরে তখন দেখে এই অবস্থা। রক্তাক্ত অবস্তায় ওকে ঘরের মধ্যে পাওয়া য়ায়। ছেলে  হিসেবে ভালো। মার্ডার করার মতো কিছু হয়েছে বলে মনে হয় না।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)