ভয়ংকর! স্ত্রীকে কেটে টুকরো টুকরো করে পুঁতল স্বামী
মমতাজ ও আলিম, দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। প্রথমদিকে সবকিছু ঠিক থাকলেও, সম্প্রতি সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। স্ত্রী মমতাজকে সন্দেহ করত আলিম শেখ। পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত।
অশোক মান্না: ভয়ংকর! স্ত্রীকে কেটে টুকরো করল স্বামী! সন্দেহ ও পারিবারিক বিবাদের কারণে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। মৃতার নাম মমতাজ শেখ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত পৈলানে।
অভিযুক্ত স্বামী আলিম শেখ আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। বর্তমানে আলিম শেখ বিষ্ণুপুর থানার অধীনে সারদা গার্ডেনে রাজমিস্ত্রি ঠিকাদারের কাজ করত। কাজ করতে এসেই মমতাজের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারপর তারা বিয়ে করে। এরপর স্বামী-স্ত্রী মিলে দু-কাটা জায়গা কিনে একটি বাড়িও বানায়। সেই বাড়িতেই থাকত দুজন। জানা গিয়েছে, মমতাজ ও আলিম, দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। প্রথমদিকে সবকিছু ঠিক থাকলেও, সম্প্রতি সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। স্ত্রী মমতাজকে সন্দেহ করত আলিম শেখ। পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত।
এখন মমতাজ বনগাঁয় কাটুনের কোম্পানিতে কাজ করতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বামী আলিম শেখ-ই তাঁকে কাজের জায়গা থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে। তারপর কিছুক্ষণ বাদে একা-ই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর সকালে খুনের বিষয়টি জানাজানি হয়। খুনের কথা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও প্রথমে অভিযুক্ত স্বামী আলিম শেখ খুনের কথা অস্বীকার করে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিষ্ণুপুর থানার পুলিস। পুলিসি জেরার মুখে পড়ে শেষমেশ সমস্ত কথা স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত আলিম শেখ। পুলিসি জেরায় সে জানায়, খুনের পর সারদা গার্ডেনের মধ্যেই একটি জলাশয়ের পাশে স্ত্রী মমতাজকে টুকরো টুকরো করে পুঁতে দিয়েছে সে। এরপর বিষ্ণুপুর থানার বিশাল পুলিসবাহিনী এসে দেহাংশগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়। বিষ্ণুপুরের সারদা গার্ডেনের এই ঘটনা যেন আরও একবার মনে করিয়ে দেয় দিল্লিতে লিভ-ইন পার্টনার আফতাবের হাতে শ্রদ্ধার হাড়হিম করা নৃশংস খুনের ঘটনাকে।
আরও পড়ুন, সরকারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে ৬ লাখ আত্মসাৎ তৃণমূল নেত্রীর!